নিজস্ব প্রতিনিধি: গঙ্গার ভাঙন গিলে খাচ্ছে মালদা ও মুর্শিদাবাদের বসত বাড়ির জমি ও চাষের জমি। বর্ষা এলেই সেই ভাঙন ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। রাজ্যের তরফে বিহার সরকারের সঙ্গে কথা বলে মুর্শিদাবাদ ও মালদাতে গঙ্গার ভাঙনের জন্য বিশেষ প্রকল্প তৈরি করা হলেও অর্থের অভাবে কাজ এগোচ্ছে না। এছাড়াও গঙ্গা ও পদ্মার সমস্ত শাখা নদীতে পলি জমে ও সংস্কারের অভাবে নাব্যতা কমছে নদী গুলির। তাই অল্প বৃষ্টিতেই দুকূল ছাপিয়ে বন্যা হয়। অবিলম্বে কেন্দ্র এই বিষয়ে রাজ্যের পাশে দাঁড়াক ও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক। সেই মর্মে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra modi) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(Mamata banerjee)
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন গোটা ঘটনা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি। এছাড়াও এর আগে জলশক্তি মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের সেচমন্ত্রক। কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া বা সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata banerjee) । গঙ্গা-পদ্মার ভাঙনে প্রতিদিন তলিয়ে যাচ্ছে বহু জমি। ভাঙন রুখতে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra modi) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মূলত তিনটি জেলার পরিস্থিতিকে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং নদিয়া। আর এই ভাঙনের জন্য নদীর গতিপথ বদলকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গতিপথ বদলের জন্য কেন্দ্রই যে দায়ী সেটা চিঠিতে বারবার উল্লেখ করেছেন মমতা(Mamata banerjee) । চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের প্রভাব পড়েছে নদীর গতিপথে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই জলসম্পদ মন্ত্রক ২০০৫ সালে ফরাক্কা(Farakka) ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছিল। যাতে নদীর পাড়ের ক্ষয়রোধ করা যায়। ২০১৭ সালে সেই ক্ষমতার বদল ঘটান কেন্দ্রীয় সরকার। যা কার্যত একতরফাভাবে করেছিল কেন্দ্র। রাজ্যের কথা না ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র যার ফল ভুগছে বাংলা।
অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন আপনি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা(Mamata banerjee) । এছাড়াও আত্রেয়ী, মহানন্দা, ফুলহার, পুনর্ভবা নদীগুলির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরেই অর্থের অভাবে সংস্কার করা যাচ্ছে না। রাজ্যের হাতে টাকা নেই, এই বিষয়ে জলশক্তি মন্ত্রককে বারবার জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।