নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে(College Student) শ্লীলতাহানির করার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার(Barracpur Sub Division) ভাটপাড়া পুরসভার(Bhatpara Municipality) এক কাউন্সিলরের দাদার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ওই কলেজ ছাত্রী জগদ্দল থানায়(Jagaddal PS) অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোটা ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর বাসুদেবপুর দীঘির পাড় এলাকায়। খোদ কাউন্সিলরের দাদা এই ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায়। ৫ দিন আগে ঘটনাটি ঘটলেও ভয়ে পরিবারের কাউকে জানায়নি ওই কলেজ ছাত্রী।
নির্যাতিতার দাবি, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্মের দাদা ভুদেব ব্রহ্ম ওরফে ভুট্টো। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা। যদিও পরে পুরো ঘটনার কথা পরিবারকে জানায় ওই ছাত্রী। শনিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই কলেজ ছাত্রী। পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রীর বয়ানও রেকর্ড করেছে। ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে জগদ্দল থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে অরুণ ব্রহ্ম জানিয়েছেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। উনি যদি অপরাধ করেন আইন তাঁর নিজের পথে চলবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্লীলতাহানির শিকার হওয়া ওই কলেজ ছাত্রী জানিয়েছে, ‘উনি প্রথমে একটা ঘরে ডাকছিলেন। আমি যায়নি। এরপর আমার বাড়িতে চলে আসে। বাড়ি তখন ফাঁকা ছিল। লঙ্কা নেওয়ার নাম করে আমার বাড়িতে এসে আমার গায়ে হাত দেয়। নানারকম অশ্লীল কথাবার্তা বলে। এই ঘটনার পর থেকে আমি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। ঘটনার পর থেকে আমি কলেজে যেতে পারছি না।’ দোষীর যাতে শাস্তি হয় সে ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রী। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ এখন তার সন্ধান শুরু করেছে।
