নিজস্ব প্রতিনিধি: স্ত্রীর পচাগলা দেহ (Dead Body) আগলে বসে রয়েছেন স্বামী। অবশেষে খবর পেয়ে সেই দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার হাওড়ার জগাছা থানার নন্দীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগাছা থানার নন্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা তুষার চক্রবর্তী (৭৫)। বাড়িতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী স্ত্রী দুজনেই অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শনিবার বাড়ি থেকে বিকট গন্ধ পান স্থানীয়রা। ঘটনাচক্রে এদিন নান্দীপাড়ায় এক সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। তাঁরা বাড়িতে কেউ আছেন কি না তা জানতে চেয়ে বারবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া শব্দ আসেনি। কেবল বিকট গন্ধ নাকে লাগছিল সবার। এরপর সন্দেহজনক মনে হতে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় হাওড়ার জগাছা থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা গিয়ে দেখেন স্ত্রী স্ত্রী তপতী দেবীর (৬৭) দেহ মেঝেয় পড়ে রয়েছে। আর ঘরে বসে রয়েছেন তুষারবাবু। এরপর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। পাশাপাশি অসুস্থ তুষার চক্রবর্তীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, তুষারবাবু মানসিকভাবে সুস্থ নন। তাঁর একমাত্র মেয়ে হায়দরাবাদে রয়েছেন।
অন্যদিকে কীভাবে তপতী দেবীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি জানার চেষ্টা করছেন ঠিক কবে তপতী দেবী মারা গিয়েছেন। তুষার চক্রবর্তীর ভাই নীহার চক্রবর্তী বলেন, ‘কিছুদিন আগেই তুষারবাবুর ঘরে এসেছিলাম। দরজা নকও করেছিলাম। কিন্তু কেউ না খোলায় চলে যাই। বিভিন্ন কাজকর্মে জড়িয়ে থাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারিনি। আর আজ এমনটা দেখছি।’