নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিল্লি যাত্রাকালীন দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল কমীদের বাস। ঝাড়খণ্ডে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাসটিতে পুরুলিয়ার কর্মীরা ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটির ডাম্পারের ওপর উঠে পড়ে বাসটি। শনিবার ধর্মতলা থেকে জেলার কর্মীদের নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় বাসগুলি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাসযাত্রীরা বিশেষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। তবুও ঝুঁকি নিতে চায়নি দল। বাসটি ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ায় কর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হবে। বাকি ৪৯টি বাস অবশ্য দিল্লি অভিমুখীই রয়েছে।
১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, সেই জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল। আগামী ৬ অক্টোবর আবার কলকাতায় ওই বাসগুলি করেই তাঁরা ফিরে আসবে। পূর্বে দিল্লি যাত্রার জন্য গোটা ট্রেন ভাড়া করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। শেষ মুহূর্তে ট্রেন মেলেনি। তাই বাসের ব্যবস্থা করে তৃণমূল।
আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হবে। ২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে নেতা কর্মীদের দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা বলা হয়। তবে শেষঅবধি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয় তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের। ফলে ১ অক্টোবরই তাঁদের পৌঁছে যেতে হবে দিল্লিতে। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ। ৩ তারিখ যন্তরমন্তরে ধরনা অবস্থান রয়েছে তৃণমূলের। সেখান থেকে পদযাত্রা করে কৃষিভবন যাবেন নেতারা।
তবে রামলীলা ময়দানে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি। বকেয়া অর্থের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর অফিসে যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতৃত্বের। হাতে থাকবে ৫০ লক্ষ চিঠি। যারা দিল্লির ধর্না কর্মসূচিতে থাকতে পারবেননা তাঁরা কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। দিল্লির কর্মসূচির লাইভ সম্প্রচার প্রত্যেক পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতিদের।