নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের ফুটে উঠল বিয়ের জন্য ধর্নায় বসার ছবি। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা। ধূপগুড়ির মাগুরমারি গ্রামপঞ্চায়েতের কালির হাট এলাকার বাসিন্দা এক শিক্ষকের বাড়ির সামনে নিজেকে তাঁর প্রেমিকা হিসেবে দাবি করে ধর্নায় বসে এক যুবতী। ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সঙ্গীতা রায় নামে ওই যুবতীর সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল স্কুল শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের । এদিক-ওদিক একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া থেকে শুরু করে ছবি তোলা ইত্যাদিও হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটা জানতো। দুজনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন এমন প্রতিশ্রুতিও একে অপরকে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে ছেলেটি যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেছিল। অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটি।
সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ছেলের বাবা যামিনী মোহন রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানবার পর বছর খানেক আগে মেয়ের অভিভাবকদের আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আসেনি। তখন আমার ছেলে রাজি ছিল। কিন্তু এখন আর বিয়েতে মত নেই। জানি না এখন কী হয়েছে। এখন আমার মেয়ের বিয়ে। তার মধ্যে আমার বাড়িতে এসে ওরা হুমকি দিচ্ছে। আমি বিষয়টি পুলিশ ও পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি’।
অপর দিকে ধর্নায় বসা সঙ্গীতা রায় বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর থেকে আমার সাথে এই বাড়ির ছেলে শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের প্রেমের সম্পর্ক। এতদিন ধরে সে আমাকে বিয়ে করব করব বললেও গত পয়লা এপ্রিল হঠাৎ সে বলে আমাকে বিয়ে করবে না। আমাদের বাড়ি থেকে এর আগে সামাজিক মতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েকবার ছেলের বাড়িতে আসা হয়। তারা বিয়ে দেবেন কিন্তু সময় চান বলেছিলেন। এভাবে দিন কাটতে থাকে। এখন ছেলে আমাকে একজনের মাধ্যমে জানায় সে আমাকে বিয়ে করবে না। তাহলে এতদিন সে আমাকে ঘোরালো কেন? আমার বাড়ির সদস্যদের কেন বলেছিল বিয়ে করব? তাই আমি তাকে বিয়ে করার জন্য তাদের বাড়িতে এসেছি’।