নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় এক বছর ধরে ঝাড়ফুঁকের ফলে অসুস্থ যুবক। তাকে ঝাড়ফুঁক করেই সুস্থ করে তোলার আজব দাবি। অভিযোগের তির গ্রামের এক মহিলা ওঝা ও অসুস্থের বউদির বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৎপর হয়ে অসুস্থকে হাসপাতালে ভর্তি করেন বিডিও (BDO) এবং ওসি (OC)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কুলচণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা পরম সরেন। রেল লাইনের ধারে বাড়ি। পরম পেশায় দিনমজুর। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও তিন সন্তান। অভিযোগ, দীর্ঘ ১ বছর ঝাড়ফুঁকের কারণে তিনি অসুস্থ। গ্রামে ছড়িয়ে যায় এই খবর। অভিযোগের তির ওঠে স্থানীয় এক মহিলার দিকে। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে চেপে ধরেন গ্রামবাসীরা। চাপের মুখে পড়ে ওই মহিলা গুনিন বলেন, ঝাড়ফুঁকের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পরম। তাঁকে ঝাড়ফুঁক করেই সুস্থ করে তুলবেন ওই মহিলা। এমনই দাবি করেন অভিযুক্ত মহিলা ওঝা। গ্রামবাসীদের দাবি, এই ঝাড়ফুঁকের ঘটনায় ওই ওঝার সঙ্গে যুক্ত অসুস্থ পরমেরই এক বৌদি। এই ঘটনায় গ্রামের সকলের রোষের মুখে পড়েন ওই দুই মহিলা। পুলিশ (Police) বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দুই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
রবিবার সকালে ভাতারের বিডিও এবং ওসির তৎপরতায় অসুস্থ যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়। ভাতার হাসপাতাল সূত্রে খবর অসুস্থের অবস্থা স্থিতিশীল। আরও জানানো হয়, চিকিৎসা চলছে। করা হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। প্রশাসনসূত্রে খবর পুনরায় এই ধরণের ঘটনা এড়াতে রবিবার দুপুরে গ্রামে চালানো হয় সচেতনতামূলক শিবির। উপস্থিত ছিলেন বিডিও, ওসি, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং গ্রাম মোড়ল, আদিবাসী সমাজের নেতৃত্ব। গ্রামবাসীদের সচেতন করে বলা হয়, ওঝা-গুনিন-ঝাড়ফুঁক-তুকতাক সব ভাঁওতা। অসুস্থের চিকিৎসা একমাত্র সম্ভব ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমেই।