নিজস্ব প্রতিবেদক: এলাকার কেউ মনে করতে পারছেন না, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়ে শেষ কবে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা। এর আগে নাবালিকা (Children) বিয়ের খবর এলে পুলিশ গিয়ে তাতে বাধা দিয়েছে, মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছে। আর সচেতন করতে বোঝানো হয়েছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ও আইন নিয়ে। সাধারণত ‘দিন আনি, দিন খাই’ নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ নাবালিকার বিয়ে দিয়ে দেন। প্রশাসন খবর পেয়ে সেই বিয়ে আটকে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার নজির-ও রয়েছে। এবার তা নয় সরাসরি গ্রেফতার। ঝাড়গ্রামের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। একদিকে যেমন প্রশংসার ঢেউ- সাধুবাদে, অন্যদিকে তেমনই চাপা আশংকা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপে। কারণ, ঘটনার জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে আদিবাসী মহলেও।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা (১৭) স্থানীয় হাইস্কুলে পড়ত। এবার উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। তবে সে ফর্ম পূরণ করেনি। তাই আসেনি অ্যাডমিট কার্ড-ও। খবর পাওয়া যায়, গত ৩ মার্চ বাড়িতে অনুষ্ঠান করে বিয়ে দেওয়া হয় ওই নাবালিকার (Child)। পাত্র ওড়িশার। সেই খবর যায় বিডিও-র কাছে। তিনি থানায় সরাসরি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গত ১২ মার্চ।
এরপর রুজু হয় নাবালিকা বিবাহের (Marriage) মামলা। নোটিস যায় অভিযুক্তের বাড়িতে কিন্তু নাবালিকার বাবা আসেননি হাজিরা দিতে। এরপর গত ২ এপ্রিল বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার বাবাকে। শনিবার তোলা হয় ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে। তবে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। নাবালিকার বাবা বলেন, বাড়িতে ৩ মেয়ে, ১ ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম ভালো পাত্র পেয়ে কিন্তু আমায় গ্রেফতার (Arrest) করা হল। আরও বলেন, অনেকেই এভাবে বিয়ে দেয় কিন্তু এর আগে কাওকে ধরা হয়নি। বিয়ে দেওয়ার পরেও ধরা হল।
এই প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিবার হয়তো মুচলেকা দেয় কিন্তু তারপরেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় আত্মীয়ের বাড়িতে। দেখা যায়, বেশ কিছুদিন পর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বলেন জয়সী দাশগুপ্ত বলেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে।