এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৩ হাজার কোটি টাকায় ৫ জেলায় চলছে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) দুঃখ দামোদর নদ(Damodar River)। সেই নদের বন্যায় প্রতি বছর দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতো। স্বাধীনতের পরে সেই নদকে বাঁধার উদ্দেশ্যেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে তৈরি করা হয় Damodar Valley Corporation বা DVC। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে দামোদরের উপনদী বরাকরের বুকে গড়ে তোলা হয় তিলাইয়া ড্যাম এবং মাইথন বাঁধ ও জলাধার। দামোদরের অপর উপনদী কোনারের ওপর গড়ে ওঠে কোনার ড্যাম। আর দামোদরের বুকে গড়ে ওঠে পাঞ্চেত, দূর্গাপুর ও তেনুঘাট বাঁধ ও জলাধার। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে ফি বছর বর্ষাকালে দুর্গাপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া হলেই হাওড়া(Howrah) ও হুগলি(Hooghly) জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। একই সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও তার প্রভাব পড়ছে। সেই বন্যা ঠেকাতে এখন ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে দক্ষিণবঙ্গের বুকে।

আরও পড়ুন মমতার পথেই মোদি সরকার, নজরে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ও West Bengal Major Irrigation and Flood Management Project’র আওতায় World Bank এবং Asian Infrastructure Investment Bank বা AIIB’র যৌথ আর্থিক সহায়তায় ৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে দক্ষিণবঙ্গের বুকে ২০২০ সাল থেকে। এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে হাওড়া ও হুগলি জেলা সহ মোট ৫টি জেলা উপকৃত হবে। সব থেকে বেশি লাভবান হবেন হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমা এবং হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষ। কেননা প্রতি বছর DVC’র ছাড়া জলে এই দুই মহকুমার মানুষজনই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন। জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চাষবাসের ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ত। তাই উলুবেড়িয়া এবং আরামবাগ মহকুমা সহ রাজ্যের পাঁচটি জেলাকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেইমতো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকায় এই বন্যা নিয়ন্ত্রনের কাজ শুরু হয়েছে।   

আরও পড়ুন কেষ্টগড়ে অমিতের সভা, বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় তৃণমূল

রাজ্যের সেচ দফতর সূত্রে খবর, এই সুবৃহৎ প্রকল্পের কাজে নদী বাঁধ নির্মাণ ছাড়াও সেচ খাল সংস্কার করা হবে। পাঁচ বছরের এই কার্যকালে ১৮০ কিলোমিটার প্রধান সেচ খাল এবং ২৭০০ কিলোমিটার সহকারী খাল সংস্কার করা হবে। এছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণে নদীগুলির পলি উত্তোলন ছাড়াও নদী বাঁধ উঁচু করে নির্মাণ করা হবে। সেচ দফতরের আশা, কাজ শেষ হয়ে গেলে রাজ্যের ৫টি জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে পৌঁছেছেন World Bank ও AIIB’র প্রতিনিধিরা। তাঁরা হাওড়া ও হুগলি জেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখছেন। রাজ্যের সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ২০২০ সাল থেকে রাজ্যের ৫টি জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রনের কাজ শুরু হয়েছে। সেই প্রকল্পের মধ্যকালীন কাজের অগ্রগতি দেখতে দুটি আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ৩রা এপ্রিল থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত জেলাগুলি ঘুরে দেখছেন। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী হল রাজগঞ্জ থানার পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর