নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ায় হিংসার খবরে বিস্ফোরক ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে বিজেপির মদত আছে। যারা হিংসার খেলা চালাচ্ছে তাদের জেলে ঢোকানো হোক, এমনটাই দাবি পীরজাদার। উল্লেখ্য, গত ২ দিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়া। শনিবারেও দেখা গিয়েছে উত্তেজনা। বিজেপি (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যের পরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
হিংসা বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন ফুরফুরা (FURFURA) শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। এই উত্তেজনার জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেছেন বিজেপি শিবিরকেই। বলেন, ভারত মানে হিন্দু- মুসলমানের মিলনক্ষেত্র। তা নিয়ে এতকাল গর্ব করা হয়েছে। সেই গর্বকে খর্ব করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কয়েকজন ‘চ্যাংড়া মানুষ’ হিংসা ছড়াচ্ছে, ভাঙচুর চালাচ্ছে, পুলিশকে আক্রমণ করছে, সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করছে। তাদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো উচিৎ। অপরাধীদের জেলে ঢোকাক প্রশাসন। পীরজাদার আরও দাবি, এই হিংসা- বিক্ষোভের পেছনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সমর্থন আছে, তার ফলেই ৩ দিন ধরে এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) এদিন ট্যুইট করেছেন। হাওড়া পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’
উল্লেখ্য, উত্তেজনার আঁচ যেন উলুবেড়িয়ায় না লাগে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত এখানে কোনও অবরোধ করা যাবে না। শুধু তাই নয় বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে করা যাবে না জমায়েতও। আগামী বুধবার পর্যন্ত এই অঞ্চলে ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অশান্তি হলে জিরো টলারেন্সের পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।