নিজস্ব প্রতিনিধি,গঙ্গাসাগর:ঠিক যেমন হয় বেনারসে কিংবা অযোধ্য, তেমনই গঙ্গারতি এবার সাগরেও। সঙ্গে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মেগা ইভেন্টের সাক্ষী থাকলেন তীর্থযাত্রীরা।৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা(Gangasagar Fair)। ১৪ তারিখ রাত থেকে শুরু হবে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান। ১৫ জানুয়ারি সোমবার পূণ্যস্নান। পূর্ণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে কপিলমুনি আশ্রমে। জমজমাট মেলা প্রাঙ্গন।সারা দেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা ভিড় করে রেখেছেন গঙ্গাসাগরের তীর।
যেন এক টুকরো ভারত। মুগ্ধ চোখে, ভক্তিভরে গঙ্গাআরতি দেখেছেন মানুষ।বারাণসী, অযোধ্যার চেয়ে কোনও অংশে কম নয় এই অনুষ্ঠান। কপিলমুণির আশ্রম থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে সাগর তীরে পৌঁছন হাজার হাজার মানুষ।মেলায় ও পুণ্যস্নানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মোতায়েন রয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ। পাশাপাশি সাগরে পূণ্য স্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে মোতায়েন এনডিআরএফ(NDRF) ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম।পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে যেমন আলোয় উদ্ভাসিত কপিলমুনির আশ্রম, তেমনি মহাসাগর আরতি। ক’দিন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না থাকলেও সংক্রান্তির শেষ লগ্নে পারদপতন যেন মকর সংক্রান্তির আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবদিক থেকে প্রস্তুত প্রশাসন গঙ্গাসাগরে।
আবারও মুড়িগঙ্গা নদীতে আটকে গেল যাত্রী বোঝাই ভেসেল। জমে উঠেছে গঙ্গাসাগর মেলা।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীদের সমাগম হচ্ছে গঙ্গাসাগরে। পূর্ণ লাভের আশায় গঙ্গাসাগরে চলছে পুণ্যের ডুব। আবারো ভোগান্তির শিকার হলো গঙ্গাসাগরে আশা ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীরা। গঙ্গাসাগরে আসার সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে আটকে গেল তীর্থযাত্রীদের ভেসেল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল ৫.২০ নাগাদ ৪০০ জন যাত্রীদের নিয়ে কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ ভেসেল ঘাট থেকে একটি ভেসেল কচুবেড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সেই সময় মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখানের চড়ে আটকে যায় পুণ্যার্থীদের ভেসেল। প্রায় ৩০ মিনিটের ও বেশি সময় ধরে ভেসেলটি চড়ে আটকে থাকে। আর এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভেসলে থাকা পুণ্যার্থীরা।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই খবর আসামাত্রই পুণ্যার্থীদের নিরাপদে উদ্ধারের করার জন্য কাকদ্বীপ লট নম্বর ৮ ব্যাসেল ঘাট থেকে রওনা দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি স্পিডবোট। এছাড়াও যাত্রীদের অন্যত্র ভেসেলে পার করার জন্য সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পৌঁছায়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্স(Civil Defence) এর কর্মীদের তৎপরতায় ওই ভেসলে থাকা ৪০০ জন পুণ্যার্থীদের থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। তবে প্রশ্ন একটাই থেকে যাচ্ছে যে গঙ্গাসাগর মেলার আগে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্রতা বৃদ্ধি করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় ড্রেজিং এর কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু একের পর এক ভেসেল আটকে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন একটা থেকে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা কি জলে খরচ করলো জেলা প্রশাসন।