এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পরীক্ষাকাণ্ডে বিশ্বভারতীতে অনিশ্চিত ২০০ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি: অচলাবস্থা অব্যাহত রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে(Viswabharati University)। সোমবার থেকে সেখানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পড়ুয়াদের বিক্ষোভের(Student Agitation) জেরে সেই পরীক্ষা এদিন আর অনুষ্ঠিত হয়নি। আর তার জেরেই এখন পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের প্রায় ২০০ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘটনার জেরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে ও রাজ্যের শিক্ষামহলেও। তাঁরা চাইছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বিশয়ে কিছুই জানানো হয়নি। 

হোস্টেল খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া-সহ একাধিক দাবিতে বিশ্বভারতীতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের সময় সীমা বৃদ্ধি করা। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত এই সব দাবি মেনে নেয়নি। এমনকি অভিযোগ উঠেছে কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটাবার জন্য যে সব নির্দেশ দিয়েছিল সেই সব নির্দেশও মাঞ্ছেন না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরে পড়ুয়াদের আন্দোলনেও কোনওরকম ভাটা পড়েনি। সেই আন্দোলনের সূত্রেই বিক্ষোভে নামা পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছিল। তার জেরে বিশ্বভারতীর কলেজ স্তরের সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলি হয়নি। এদিন থেকে সেখানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা(Higher Secondary Examination) শুরুর কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা(Examiners)। তার জেরে এদিন সেখানে কোনও পরীক্ষাই নেওয়া যায়নি।

তবে এদিন সব থেকে বড় অশান্তি হতে দেখা গেল পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক ও পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক এই দুই শিবিরের পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের মধ্যে। পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক পড়ুয়াদের দাবি, প্রথমে তাঁদের বলা হয়েছিল, অর্ধেক সিলেবাসে অর্থাৎ যতটা পড়ানো হয়েছে তার ভিত্তিতে টেস্ট পরীক্ষা হবে। কিন্তু চার দিন আগে নোটিস দিয়ে জানানো হয় পুরো সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়। মার্চ থেকেই ফাইনাল পরীক্ষা। স্টাডি লিভ মাত্র ১ মাস দেওয়া হয়েছে। যেখানে সব জায়গায় তিন মাস সময় দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের দাবি ছিল অফলাইনে নয়, পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনে যা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রথমে মেনে নিলেও পরে তা থেকে সরে এসেছেন। তাই তাঁরা পরীক্ষা বয়কট করছেন। এদিন দেখা যায় পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকেরাও সামিল হন বিক্ষোভে।

আবার পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরাও জোর করে ভাষা-বিদ্যাভবন বিল্ডিংয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের বাধা দেন পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকেরা। কেননা এই ভবনেই এদিন ওই ২০০ পড়ুয়ার সিট পড়েছিল বাংলা আর হিন্দি ভাষার পরীক্ষার জন্য। কিন্তু সেই জায়গাতেই দুই পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তি সামগ্রিক ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা সেই সময় পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের পাশে এসে দাঁড়ালে পরিস্থিতি আরও গভীর হয়ে যায়। যদিও দ্রুত আন্দোলনরত বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাদের হস্তক্ষেপ সংঘর্ষ এড়ানো গিয়েছে এদিন। তবে সমস্যা মেটেনি। পরীক্ষা না হওয়ার জেরে এদিন ইচ্ছুক পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, দু’শোর বেশি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কয়েকজন পরীক্ষা দিতে চাইছে না। বাকিরা পরীক্ষা দেবে। অ্যাডমিট যখন নিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার সাহায্য চাইলেও তারা কোনও সাহায্য করছে না। আর এখন তো পরীক্ষাই বন্ধ হয়ে গেল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সরাসরি: কেতুগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী, একাধিক জায়গায় অশান্তি

পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার নাম উজ্জ্বল করল ধুপগুড়ির পূজা বিশ্বাস

রাত পোহালেই বীরভূম লোকসভায় নির্বাচন , ১৩১ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে নজরদারিতে

হাওড়ার বালি ,বেলুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জীর অভিনব ভোট প্রচার

রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ, আশীর্বাদ নিলেন, সেলফি তুললেন

ধুপগুড়িতে বিশ্ব মাতৃ দিবসে ছাত্ররা মাকে পুজো করলেন, পায়েস খাওয়ালেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর