নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: হুগলির সুগন্ধায় তৈরি টোটো এবার পাড়ি দিচ্ছে সুদূর আফ্রিকাতে। চলবে সে দেশের ঘানার রাস্তায়।হুগলি জেলার পোলবার সুগন্ধায় দিল্লি রোডের ধারে হুগলি মোটরস কারখানায় শদুয়েক শ্রমিক কাজ করেন। সেই কারখানায় তৈরি টোটো এবার ঘানায় রপ্তানি হতে চলেছে। বুধবারই খিদিরপুর থেকে ঘানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল কয়েকটি টোটো। সংস্থার কর্ণধার শেখ নাসিরুদ্দিন(Sk. Nasiruddin) জানান, “বর্তমানে ব্যাটারিচালিত পরিবেশবান্ধব গাড়ির চাহিদা প্রচুর। তেলের দাম বাড়ায় ই-গাড়ির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
তাই এর চাহিদা বাড়ছে বিদেশে। মাসদুয়েক আগে ঘানার মাদিনার সংস্থা গোল্ডেন ওয়েবের প্রতিনিধিরা হুগলিতে তার কারখানা দেখতে আসেন। তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর তারা তার সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি করেন। তাঁরা জানান আগে চিন থেকে ই-রিক্সা বা টোটো(TOTO) নিতেন। কিন্তু তাদের গুনগত মান খারাপ হওয়ায় এবার ভারত থেকে টোটো আমদানি করতে চায় ঘানা। সেইমতো কনটেনার ই-রিক্সা পাঠানো হচ্ছে।”আগামিদিনে টোটো অন্যান্য দেশে বিক্রি করতে পারলে বিদেশি মুদ্রা আসবে। তার ফলে দেশের অর্থনীতিতে বাংলা যে বড় ভূমিকা নেবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এছাড়া আরও বেশি মানুষ কাজের সুযোগও পাবেন। কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে।তাই টোটো প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধারের দাবি, রাজ্য সরকার ক্ষুদ্রশিল্পগুলির দিকে আরও গুরুত্ব দিক। সম্প্রতি বিদেশি বাণিজ্যিক লগ্নি স্পেন সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জঙ্গলমহলে ইস্পাত কারখানা গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এমন তো পরিস্থিতিতে হুগলির তৈরি টোটো আফ্রিকায় পাড়ি দেওয়ার ঘটনা অবশ্যই অক্সিজেন যোগাবে এ রাজ্যের শিল্প মহলে।কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, ন্যানো কারখানা সিঙ্গুরে না হওয়ার ঘটনায় যারা সব সময় সমালোচনা করেন, তাদের এবারে যোগ্য জবাব দিল এই ই – রিক্সা কারখানা।