নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) এখন বিধায়ক(MLA) সংখ্যা ঠিক কত? গতকালই প্রকাশিত হয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে। সেখানে বিজেপির কাছ থেকে আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে খাতায়কলমে এখন সরকারি ভাবে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ঠিক কত? একই সঙ্গে প্রশ্ন, বেসরকারি ভাবেই বা সেই সংখ্যাটা কত? উত্তর, সরকারি ভাবে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৮জন। বেসরকারি ভাবে ২২৪। এই বেসরকারি ভাবে সংখ্যাটা এসেছে ‘খাতায়-কলমে’ এবং ‘দলবদলু’ মিলিয়ে মিলিয়ে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিতেছিল ২১৩টি আসনে। সেই সময় মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট নেওয়া হয়নি। পরে সেই দুটি কেন্দ্রের ভোট নেওয়া হয় এবং তা তৃণমূলের পক্ষেই যায়। তার জেরে তৃণমূলের আসন বেড়ে হয় ২১৫। ওই দুটি আসনের নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে উপনির্বাচন হয়েছিল বিজেপির দখলে থাকা আরও দুটি আসনের। সেই দুই আসনেও জয় হয় তৃণমূলের। তার জেরে সরকারি ভাবে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২১৭। কিন্তু পরে রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডের মৃত্যুতে সেই সংখ্যা নেমে হয় ২১৬। কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে জয়ী হওয়া বায়রন বিশ্বাসও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তিনিও এখন সরকারি ভাবেই তৃণমূলের বিধায়ক। গতকাল ধূপগুড়ি জয়ের ফলে সেই আসন সংখ্যা ২১৮ ছুঁইয়ে ফেলল।
যদিও বেসরকারি ভাবে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা এখন ২২৪। কেন? কেননা ৬ জন বিজেপি(BJP) বিধায়ক নানান সময়ে পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরা হলেন মুকুল রায়, সৌমেন রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সুমন কাঞ্জিলাল। সব মিলিয়ে বাড়তি আরও ৬জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তৃণমূলের দিকে। সব মিলিয়ে তাই সংখ্যাটা ২২৪। অন্যদিকে বিজেপি একুশের ভোটে ৭৭টি আসন জিতলেও এখন সরকারি ভাবে ৭৪জন বিধায়কের মালিক। যদিও এদের মধ্যে ৬জন ইতিমধ্যেই তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। তাই বিজেপির প্রকৃত বিধায়কের সংখ্যা বেসরকারি ভাবে এখন ৬৮। বাম-কংগ্রেস(Left-INC) শূন্য।
রাজ্য বিধানসভায় আসন সংখ্যা ২৯৪। এদের মধ্যে এখন তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৭। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৪। বাকি ৩টি আসনের মধ্যে ১টি আসন আছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হাতে। ১টি আসন আছে কালিম্পংয়ের নির্দল বিধায়কের হাতে। ১টি আসন ফাঁকা। সেটি সাধন পান্ডের আসনটি। সেই আসনে উপনির্বাচন আটকে রয়েছে আদালতে মামলা ঝুলে থাকায়। যদিও কোনওদিন সেই আসনে নির্বাচন হয় তাহলে তৃণমূলের সামনে আবারও সুযোগ থাকবে তাঁদের আসন ২২৫ করে ফেলার।