নিজস্ব প্রতিনিধি: বিহারের বেগুসারাইতে খুন হয়েছিলেন সাংবাদিক। খুনিরা আত্মগোপন করেছিলেন ৪০ দিন। তবে শেষ রক্ষা হল না। এই রাজ্যের পুলিশ (POLICE) ধরে ফেলল (ARREST) ৩ দুষ্কৃতীকে। বড়সড় সাফল্য চন্দননগর কমিশনারেটের।
পাশের রাজ্য বিহারের সাংবাদিক (JOURNALIST) সুভাষ কুমার গুপ্তা। গত ২০ মে এক বিয়ে বাড়ির আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন তিনি। নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ফেরার সময় দেখেন ৪ দুষ্কৃতী মহিলাদের ঘিরে অশালীন মন্তব্য এবং কু- ইঙ্গিত করছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ওই রাজ্যের বেগুসারাই জেলার সাঁকো গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ। তাঁর প্রতিবাদের পরেই বচসা শুরু করে দুষ্কৃতীরা। তারপরেই হঠাৎ বন্দুক বার করে গুলি করে খুন (MURDER) করে চম্পট দেয় তারা। পরিবারের অভিযোগ, বালি মাফিয়াদের তাণ্ডবের খবর করার জেরেই দুষ্কৃতিদের নজরে ছিলেন সুভাষ। আর সেই রাগ থেকেই খুন। তবে বিহার পুলিশের চোখ এড়িয়ে আত্মগোপন করেছিল দুষ্কৃতীরা। বিহার পুলিশ যা পারেনি তা করে দেখিয়েছে এই রাজ্যের চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩২০ বি, ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কেস নম্বর ১৫৩/২২। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্যক্তির দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালিয়ে এসেছে সাফল্য। যেই এলাকায় আত্মগোপন করেছিল দুষ্কৃতীরা, সেই এলাকার কয়েকজনের সন্দেহ হয়েছিল দুষ্কৃতীদের আচরণ নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে জানিয়েছিলেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক রাজ্যে আত্মগোপন করেছিল এই ৩ দুস্কৃতী। তারপরে আত্মগোপন করে এই রাজ্যের হুগলি জেলার বলাগড়ে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে গোপন অভিযান চালিয়ে গঙ্গার ধার থেকে গ্রেফতার করা হয় দুষ্কৃতীদের। জানা গিয়েছে ধৃতদের বাড়ি বিহারের বেগুসারাই জেলার খাগারিয়া থানা অঞ্চলে। ধৃতদের নাম প্রিয়াংশু কুমার, সৌরভ কুমার এবং রসুন কুমার। ধৃতদের কাছ থেকে ৪ টি মোবাইল,য় জাল আধার কার্ড সহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি বিদিতরাজ বুন্দেশ বলেন, ধৃতরা প্রথমে জ্বাল আধার কার্ড দেখিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, কাজ খুঁজতে বিহার থেকে এই রাজ্যে এসেছে। ক্রমাগত জেরার মুখে পড়ে পড়ে তারা স্বীকার করে নেয় অপরাধ। এরপরই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিহার পুলিশের সঙ্গে। নিশ্চিত হওয়া যায় এই দুষ্কৃতীদের সম্বন্ধে।
