নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের মালদা জেলা দীর্ঘদিনের কংগ্রেসি দুর্গ। এমনকি বাংলায় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরেও সেখানে কংগ্রেসের প্রভাব প্রতিপত্তি অটুট ছিল। এমনকি ২০১১ সালে রাজ্যে বাম জমানার অবসানের পরেও মালদার মাটিতে সেভাবে পায়ের নীচে মাটিই পায়নি তৃণমূল। কিন্তু এই পরিস্থিতির বদল ঘটতে শুরু করে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে মালদার মাটিতে পদ্মফুল ফোটার পর থেকেই। জেলার সংখ্যালঘু সমাজের মানুষেরা তৃণমূলের পতাকা তলা জড়ো হতে শুরু করে দেন। এর সুবাদেই একুশের ভোটে মালদা জেলায় তৃণমূল ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিতে জয়লাভ করে। এই বিশাল সংখ্যক আসন জয় মালদার মাটিতে তৃণমূলের ইতিহাসে ছিল সেই প্রথম। এবার জোড়াফুল শিবিরের লক্ষ্য জেলার ২টি লোকসভা আসনই দখল করা। আর সেই সুবাদেই মালদায় প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আক্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও(Narendra Modi)।
এদিন মালদা জেলায় মমতার ২টি সভা ছিল। প্রথম সভা ছিল জেলার কালিয়াচক এলাকার সুজাপুরে। দ্বিতীয় সভা ছিল হব্বিবপুরে। সেই সভা থেকেই মমতা NRC প্রসঙ্গ তুলে এনে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘সারা বছর ওরা ভুলে থাকে, আর ভোট এলেই ওদের অনুপ্রবেশকারীদের কথা মনে পড়ে যায়। আর তখনই খালি বলে, একে তাড়াবো, ওকে তাড়াবো। ভোটের সময়ে এদেরই ভোট নিয়ে জেতে। তারপর সব ভুলে যায়, মানুষকে বোকা বানায় বিজেপি। ছলনা করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে নানা জায়গা ঘুরে বেড়ায় নেতারা। তবে মনে রাখবেন, NRC হলে সবাইকে তাড়িয়ে দেবে। বলবে জেলে গিয়ে থাকো। CAA-তে দরখাস্ত করলেই সে বিদেশি হয়ে যাবে। ভয়তে কেউ দরখাস্তও করছে না। এতদিন যাদের ভোটে জিতে এল, তাঁরাই নাকি অনুপ্রবেশকারী। সবাই যদি অনুপ্রবেশকারী হয় তাহলে আপনিও অনুপ্রবেশকারী(Infiltrator) প্রধানমন্ত্রী। আমিও তাহলে অনুপ্রবেশকারী মুখ্যমন্ত্রী। সব পঞ্চায়েত, বিধানসভাও তাই! মনে রাখবেন বিজেপি জিতলে এই নির্বাচন যে শেষ নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। দেশে আর কোনওদিন কোনও নির্বাচন ভোট হবে না। এই সরকার ক্ষমতায় এলে ভোট বন্ধ করে দেবে। তবে উনিও বুঝে গেছেন এবার আর বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না।’