নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: ‘সিপাহি বিদ্রোহ’-য়ে এমনিতেই জেরবার ৬ নম্বর মুরলিধর সেন রোড। বিদ্রোহের আগুন এবার ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। দলের বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার শনিবার বাড়ির সামনে চপ ভাঁজার ঘটনা, সেটাই প্রমাণ করছে। বিষয়টা চপ ভাজা পর্যন্ত থাকলে ঠিক ছিল। কিন্তু এর পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা কাজ করছে, সেটা জানিয়ে দলীয় নেতাদের অস্বস্তি যে আরও বাড়িয়ে তুললেন সে বিষয় কোনও সন্দেহই রইল না।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলা বিজেপিতে অনেকদিন ধরেই চাপা ক্ষোভর আগুন ধিকধিক করে জ্বলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডাকে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলার চার হেভিওয়েট বিধায়।আবার নন্দ ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা এবং ইন্দাসের নির্মলকুমার ধারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লি থেকে তাদের জন্য বরাদ্দ নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। নীলাদ্রিশেখর জানাও জেলা সাংগঠনে অসন্তোষের কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তাহলে কী দিল্লীশ্বরদের ক্ষোভের বার্তা দিয়ে দল বদলের কথা চিন্তা-ভাবনা করছে পদ্মশিবিরের এই সিপাহী?
সরাসরি তিনি অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তার চপ ভাজার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নীলাদ্রিশেখর দানা যা বলেছেন, তাতে স্পষ্ট আগামীদিনে তাঁর গন্তব্য হতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। বাঁকুড়ার এই পদ্মবিধয়ক বলেন, তিনি নতুন করে চপ ভাজছেন না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বেকারদের উদ্দ্যেশে তিনি অনেক আগেই পরামর্শ দিয়েছিলেন ঠ্যালা গাড়ি করে চপ ভাজার। কারও কাছে পরামর্শ ছিল চপের দোকান খোলার। মুখ্যমন্ত্রীর সেই পরামর্শ মেনেই তিনি বাড়ির পাশে চপের দোকান খুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও যেমন বেকরাদের উৎসাহ দিয়েছেন, তিনিও রাজ্যের বেকারদের স্বনির্ভর হতে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।