নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিযোগ ছিল, কালিয়াগঞ্জে (KALIAGANJ) বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঢুকেছে কেএলও জঙ্গি। হামলার পরিকল্পনা না কি ছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা জীবন সিংহের। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির উস্কানিতেই মডেল থানায় হামলা হয়েছে। ভাইরাল হল পুলিশের ওপর হামলার নৃশংস ছবি।
ভাইরাল ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে পড়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে লাঠি দিয়ে মারছে। ক্রমাগত চলছে লাথি ও ঘুষি। হাত জড়ো করলেও রক্ষা পাননি পুলিশ কর্মীরা। অন্য ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি ঘরে বন্ধ করে একদল পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারা হচ্ছে। আর নৃশংস ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন সকলে। আরও একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে একদল পুলিশকর্মী প্রাণ বাঁচাতে বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে আছেন।
এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে, ধারালো অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে পুলিশের ভাঙা হেলমেট,প্যান্ট,জুতো। গত মঙ্গলবারের সেই ঘটনায় এলাকা আতঙ্কিত। জানা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা আশেপাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের পায়ের ছাপ দেখে তবুও বিক্ষোভকারীরা সেখানেও পৌঁছায়। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পুলিশদের বেঢড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, যে বাড়িতে পুলিশকর্মীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন সেই বাড়িতেও চালানো হয় লুঠপাট, বিক্ষোভকারীরা হাতিয়ে নেয় টাকা, গয়না। হামলা চালানো হয় আশেপাশের দোকানেও। সারাদিনে আহত প্রায় ৪০ জন পুলিশ। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ৪,৬,৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। চলছে রুট মার্চ। সভা, লাউড স্পিকার ব্যবহার ও জমায়েত না করার কথা বলা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গতকালের ঘটনায় গ্রেফতার ৩৩ বিক্ষোভকারী।
উল্লেখ্য গতকাল পুলিশকে মারধর থেকে থানায় ঢুকে তাণ্ডব, পাথর- ইটবৃষ্টি, বোতল ছোঁড়া, আগুন লাগানো বা বোমাবাজি- বাদ ছিল না কিছুই। থানার সামনের নার্সারি, গাড়ি এবং ভেতরে থাকা সারি সারি মোটর সাইকেল ভস্মীভূত হয়ছে। পুড়েছে থানার গুরুত্বপূর্ণ নথি। ঘটনা সম্বন্ধে জানতে মুখ্যসচিব এবং ডিজির কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি ফোন করেছিলেন উত্তর দিনাজপুর প্রশাসনেও। নির্দেশ, কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।