নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ সিপিএমে (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে ফাঁকা হচ্ছে একাধিক আসন। বৃদ্ধ প্রজন্মের প্রায় ৬ টি চেয়ারে সাদা মাথার জায়গায় গুরুত্ব পাবে নতুন মাথা। ফাঁকা আসন ঘিরে শুরু হয়েছে কাটাকুটির খেলা। পদ পেতে লবি ধরতে চাইছেন বহু সর্বহারার নেতা। জায়গা পেতে চাইছেন রাজ্যের শীর্ষ কমিটিতে। আদৌ উঠে আসবেন তাপস সিনহা- মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মতো মুখ?
আগামী ২৭- ২৮ এপ্রিল হবে রাজ্য কমিটি বৈঠক। দু’দিন ব্যাপী বৈঠকের শেষ দিনে নতুন সম্পাদক মণ্ডলী গঠন করা হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই থাকছেন না প্রবীণ মুখ। বিমান, মিনতি, সূর্যকান্তরা সরে গিয়েছেন। ৬ টি পদ রয়েছে ফাঁকা। এই ‘ফাঁকা চেয়ার’- এর দাবিদার কিন্তু মোটেই ৬ জন নন। দাবিদার অনেক। আসতে পারেন শমীক লাহিড়ী, সুমিত দে, কনীনিকা ঘোষ, অঞ্জু কর। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন দেবলীনা হেমব্রম। তাঁকে নিয়ে আসা হতে পারে রাজ্যের শীর্ষ কমিটিতে। পদাধিকার বলে তা অসম্ভব নয় মোটেই। জানা গিয়েছে, নির্বাচিত সম্পাদক মণ্ডলীতে শেষ চোখ বোলাবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Ex- CM) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে অসুস্থ গৌতম দেবের সিদ্ধান্তকে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিমান- সূর্য- সেলিম। এই মুহূর্তে কান্নুর পার্টি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন সুমিত, শমীক। তবে, তাঁরা রাজ্যের সম্পাদক মণ্ডলীর পদে আসতে চাইলে নিতে হবে অনুমতি। না হলে ছাড়তে হবে কোনও একটি দায়িত্ব। কারণ জেলা- রাজ্য- দেশের বিভিন্ন পদে তাঁরা রয়েছেন ইতিমধ্যেই। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও দেওয়া হবে নজর। চেয়ার দখলের দৌড়ে তাপস, মিনাক্ষী, শমীক, সুমিতের পাশাপাশি রয়েছে রাহুল ঘোষ, অলোকেশ দাস, এমএস সাদি, মেঘলাল শেখ, দেবব্রত ঘোষ। আবার নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করতে পারেন সায়নদীপ মিত্র। দৌড়ে রয়েছেন জামির মোল্লাও।
মাত্র ছটি চেয়ারের দাবিদার ১২ থেকে ১৪ জন। এখন দেখার যারা সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁদের গুডবুকে কে রয়েছেন। দেখার কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে চেয়ারে বসার। দলকে ফিকে থেকে তাজা করতে কার কার ওপর ভরসা রাখেন পাকা মাথারা?