নিজস্ব প্রতিনিধি: কুড়মি (KURMI) সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির আওতাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি-সহ একাধিক দাবিতে কুড়মি সমাজের আন্দোলন পঞ্চম দিনে পড়েছিল। সড়ক এবং রেল অবরোধ অবশেষে প্রত্যাহার করা হল রবিবার। তবে মেলেনি সমাধান সূত্র। জঙ্গলমহল জুড়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খেমাশুলিতে এখনও জারি আন্দোলন।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত খড়গপুর-আদ্রা ও খড়গপুর-টাটা লাইনে মোট ১১৭টি ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫দিনে বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৪৯৬টি ট্রেন। আন্দোলন প্রত্যাহারে ভূমিকা নিতে বলে রেলমন্ত্রক চিঠি দিয়েছিল রাজ্যকে। বলা হয়েছিল, আন্দোলন জারি থাকলে তা তুলতে কড়া পদক্ষেপ নেবে রেল।
পুরুলিয়ার কুস্তাউর থেকে কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো বলেন, এই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নয়। তাঁরা নিজেরাই এই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলেন, তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। তবে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে অবস্থানকারী কুড়মিরা জানাচ্ছেন, তাঁদের নেতৃত্ব তাঁদের কাছে এসে না বললে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। খেমাশুলিতে ইতিমধ্যেই এসেছে রেল পুলিশ ও কমান্ডো। অবরুদ্ধ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কও।
আজ থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী রেল। ইতিমধ্যেই কুস্তাউরে রেললাইন পরীক্ষা করছে আরপিএফ। তবে অনড় পশ্চিম মেদিনীপুরের বিক্ষোভকারীরা। সূত্রের খবর, আজ বাতিল হয়েছে ৯৫টি ট্রেন।