এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অন্ধ্র-ওড়িশার দিকেই এগোবে ঘূর্ণিঝড়, বিলীন হবে সাগরেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ আন্দামান সাগরে(South Andaman Sea) তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে(Low Depression) পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে সাগরের বুক থেকে সে ক্রমাগত শুষে নিচ্ছে জলীয় বাষ্প। তার জেরে তার শক্তিও বাড়ছে। দিল্লির মৌসম ভবনের দাবি, রবিবার বিকালেই এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রাতের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) চেহারা নিতে পারে। সেক্ষেত্রে তার নাম হবে ‘অশনি’। প্রাথমিক ভাবে মৌসম ভবনের আবহাওয়াবিদদের ধারনা এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র-ওড়িশা(Andhra Odisha Border) উপকূলের দিকে এগোবে। তবে মাঝপথে সে ডানদিকে বাঁক নিলেও নিতে পারে। আর যদি সেই বাঁক নেয় তাহলে সে উত্তর ওড়িশায় এসে হাজির হবে। যদিও আবহাওয়াবিদদের ধারনা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে না। বরঞ্চ সাগরের বুকেই সে শক্তি হারিয়ে বিলীন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই জন্য অপেক্ষা না করে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও বাংলায়(Bengal) সতর্কতা জারি করে দিয়েছে মৌসম ভবন।

মৌসম ভবনের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই নিম্নচাপ অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের দিকেই এগোবে। তবে তা হয়তো ভূমি স্পর্শ করবে না। কিন্তু এই নিম্নচাপ তথা ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাংলার পরিমণ্ডলে প্রচুর মেঘ ও জলীয় বাষ্প ঢুকবে। আগামী সোমবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। এরপর সময় যত গড়াবে ততই বৃষ্টির তেজ ও পরিমাণ দুই বাড়বে। সেই কারণেই এদিন থেকেই মৎস্যজীবীদের মাঝসমুদ্রে যেতে বারণও করা হয়েছে। দিল্লির তরফে ইতিমধ্যেই বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকছে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। কেননা নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে ডান দিকে বাঁক নিতে পারে। আর সেক্ষেত্রে সে সোজা হাজির হতে পারে বাংলার উপকূলে। সেই সতর্কবার্তার জেরে এদিন থেকেই কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। দুটি জেলারই প্রতিটি মহকুমা ও ব্লকগুলিতে এলাকায় কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। তৈরি রাখা হচ্ছে ‘কুইক রেসপন্স টিম’কেও। সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন। প্রয়োজনে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং কোস্ট গার্ডের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

মৎস্যজীবীরা যাতে এদিন থেকেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান, তার জন্য ইতিমধ্যেই ‘মাইকিং’ শুরু করা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। রবিবার থেকেই আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে বলে প্রশাসনের একাংশের অনুমান। যে কোনও রকমের বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভেবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, চাল, ওষুধ, শুকনো খাবার এবং জলের বোতল মজুত করতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে নৌকা রাখা হয়েছে, যাতে বিপদগ্রস্তদের অতি সত্ত্বর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। দুর্গতদের থাকার জন্য একাধিক অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, গাছ ভেঙে পড়লে বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেও প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) তৈরি হওয়া নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। রবিবার রাতে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার এটি উত্তর অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। এর প্রভাবে আগামী সোমবার থেকে শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রার খুব রদবদল হচ্ছে। ফলে শেষ পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় মূল স্থলভাগে ভূমিস্পর্শ নাও হতে করতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। ঘূর্ণিঝড় সম্ভবত সাগরেই বিলীন হয়ে যাবে। আবহাওয়াবিদদের অভিমত, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে দু’টি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এক, ঘূর্ণিঝড় কোন পথ ধরে এগোবে, সেটা ঠিক করে দেয় বাতাস। এবং তাকে শক্তি জোগায় জলীয় বাষ্প। এবং দুই, একই সময়ে ভারত মহাসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দু’টি ঘূর্ণাবর্তে শক্তি ভাগের অঙ্কে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের অভিঘাত কম হওয়ারই সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে সাগরের বুকে তার বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে।

বাংলায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে এই নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে জেলা শাসকদের। দুর্বল বাঁধ মেরামতে জোর দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে সমুদ্র ও নদী উপকূলবর্তী এলাকায় সর্তকতামূলক প্রচার করতে বলা হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে শুকনো খাবার, ত্রিপল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে জরুরি ভিত্তিতে ফ্লাড শেল্টার খোলার প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন কোন এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তা চিহ্নিত করে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট ফোন ও ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এসএসসি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

হাবিবপুরে দিনভর ভোট বয়কটের ডাক ,সন্ধ্যায় ছড়ালো হিংসা, রক্তাক্ত পুলিশ

জীবনের সব প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রী

শিলিগুড়ির ডনবস্কো মোড়ে গাছ ভেঙে পড়ে আহত একজন মহিলা সহ দুই

জঙ্গলমহলে চোলাই মদের বিরুদ্ধে আবগারি দফতর ও পুলিশের ব্যাপক অভিযান

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর