নিজস্ব প্রতিনিধি: পাঁচ দিন আগে পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রার পুরাতন বাজারের কাছে তৃণমূলের কার্যালয়ে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান দলের আদ্রা শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ ঘন্টার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার রাতে আরজু মালি নামের মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেন তদন্তকারীরা। বুধবার তাকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় চৌবে খুন হয়ে যাওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল আরজু মালি। আদতে বিহারের জামুই-এর বাসিন্দা তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে থাকতেন আরজু। সেখান থেকেই রেলের সিন্ডিকেট চালাতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গ্রেফতার করার পাশাপাশি অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। নিতুড়িয়ার ইনানপুর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘আদ্রার খুনের ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী তথা রেলের সিন্ডিকেটের মাথাকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নানা তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে।’ ধৃতের বিরুদ্ধে পূর্বের ধর্ষণ-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য চলতি মাসের ২২ তারিখ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রার পুরাতন বাজারের কাছে তৃণমূলের কার্যালয়ে ধনঞ্জয় চৌবে যখন বসেছিলেন সেই সময় দুষ্কৃতীরা সেখানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তাঁকে খুন করে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পুরুলিয়া শহরে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে শাসকদলের নেতাকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।