নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: আরো এক দশম শ্রেনীর ছাত্রী অপহৃত।অপহরণের ছবি সিসিটিভিতে স্পষ্ট।তবুও অপহরণের ১০দিন পরও অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারে নি পুলিশ।সিসিটিভিতে পাওয়া হাড়হিম করা ছাত্রী অপহরণের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। সেই ভাইরাল ছবিতে দশম ছাত্রীকে দুই দুষ্কৃতি মোটরবাইকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সিসিটিভির(CCTV) সেই ছবি সহ লিখিত অভিযোগ করে ছাত্রীর পরিবার। এরপরও হেলদোল নেই পুলিশ প্রশাসনের। ঘটনাটি ইংরেজবাজার থানার। তাই অপহৃত দশম শ্রেনীর ছাত্রী উদ্ধারে জন্য পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছাত্রীর বাবা।
মালদা জেলা জুড়ে শিশু থেকে মহিলা খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। যা ঘিরে তোলপাড় হয়েছে মালদা জেলা। ৩১জানুয়ারী ইংরেজবাজার থানা এলাকাতে এক পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীর গলা কাঁটা দেহ উদ্ধার হয়। এরপর ১৫ফেব্রুয়ারী ভুট্টার খেতে এক যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় মোথাবাড়ি থানা এলাকায়। ২৩ফেব্রুয়ারী মালদা থানা(Malda P.S.) এলাকায় এক পরিত্যক্ত ইট ভাটাতে দশম শ্রেনীর আদিবাসী ছাত্রীর ইট দিয়ে মাথা থেতলে খুনের ঘটনা ঘটে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বৈষ্ণবনগর থানাতেও এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ভুট্টার খেতে।
এমন পরিস্থিতিতে আবার এক দশম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরণ(Kidnapping)। স্বাভাবিকভাবেই মালদা জেলার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।এদিকে,পুরাতন মালদার ভাবুকে নবম শ্রেণীর আদিবাসী ছাত্রীর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল এক যুবক। জানা গেছে ধৃত ওই যুবকের নাম জিতু মুর্মু,(২১) , ধৃত যুবকের বাড়ি খুন হওয়া ছাত্রীর বাড়ির এলাকাতেই রয়েছে এবং খুন হওয়া ছাত্রীর দূর সম্পর্কের কাকা হয়। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, বাদনা পরবের দিন অতিরিক্ত মদ্যপান করে এই কুকর্ম করে এবং প্রমান লপাটের জন্যই ছাত্রীকে খুন করা হয়।
যুবককে ৩০২ এবং ২০১ ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালতে(Malda Court) পাঠানো হয়। পাশাপাশি সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর এই খুন কাণ্ডে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ আরো এক যুবককে আটক করলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।