নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) সময় ভোট প্রচারে বেড়িয়ে এখন নিয়মিত ভাবে সভা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সূত্রেই তিনি এদিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার সভা করতে গেলেন বীরভূম(Birbhum) জেলার রামপুরহাট মহকুমার হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের কড়কড়িয়াতে। আর কে না জানে বীরভূম মানেই কেষ্ট থুড়ি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। গরু পাচার মামলায় CBI’র হাতে গ্রেফতার হয়ে দিল্লির তিহার জেলে সকন্যা বন্দী থেকেও তিনি এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূলের(TMC) সভাপতি। এখনও তাঁর নামেই দল চলছে বীরভূমে। সেই বীরভূমে মমতা সভা করতে গিয়ে কেষ্ট’র কথা বলবেন না সে কী হয়। হলও তাই। কড়কড়িয়ার বুকে সভা শুরুর প্রথম দিকেই দিদির মুখে উঠে এল কেষ্ট’র নাম। শুধু নামই উঠে এল না, দিদি একপ্রকার জানিয়েই দিলেন, ‘দেখবেন ইলেকশানের পরে ওকে ছেড়ে দেবে’।
এদিন হাসানের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘কেষ্টকে ওরা ভয় পায়। সেই জন্য ওকে দিল্লিতে আটকে রেখেছে। মেয়েটাকেও আটকে রেখেছে। আসলে ওকে আটকে রেখেছেন কেন জানেন। কেষ্ট যাতে কাজ না করতে পারে তাই আটকে রেখেছে। আগে দেখতেন না ভোটের সময় বলে দিত কেষ্ট বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না। তাতেও ভোটে জিততো না। তাই এখন জেলে আটকে রেখেছে। যেন ওকে জেলে আটকে রাখলেই ওরা ভোটে জিতে যাবে। তোমরাও শুনে রাখো, কেষ্ট এই জেলার মাটির ধুলোতে ধুলোতে মিশে আছে। মানুষের মনে মনে রাজত্ব করছে। আপনারাও দেখবেন, ইলেকশানের পরে ওকে ছেড়ে দেবে।’ মমতার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থল করতালিতে ভরে ওঠে। মেয়েরা দেন উলুধ্বনি, ছেলেরা দেন কেষ্ট’র নামে জয়ধ্বনি। কার্যত কেষ্টহীন জেলাতে যে এখনও কেষ্টময় রাজনীতি সেটা এদিন বুঝিয়ে দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।