নিজস্ব প্রতিনিধি: চপ-মুড়ি অত্যন্ত পছন্দের খাবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর খাদ্য তালিকায় থাকে চপ-মুড়ি। একাধিকবার প্রশাসনিক বৈঠকে চপ-মুড়ি কিংবা ভালো ডালবরা খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায়, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লন্ডন সফরে টিন টিন মুড়ি ও নারকেল নারু নিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই টিন টিন মুড়ি চিনতে না পেরে আটকে দেয় লন্ডন বিমানবন্দর। পরবর্তীতে ভারত সরকারের তরফে বিবৃতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মুড়ির টিন।
বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের খাবার হল চপ-মুড়ি। বিদেশে স্ন্যাক্স হিসেবে চাউমিন, পিৎজা, পাজতা খাওয়া হয়। ভারতেও একাধিক রাজ্যে স্ন্যাক্সে টোস্ট কিংবা ডিম সেদ্ধ খাওয়া হয়। কিন্তু বাঙালির স্ন্যাক্স মানেই হট ফেভারিট চপ-মুড়ি। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সেই চপ-মুড়ি তুলে দিলেন আদরের কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডল। খারাপ আবহাওয়ার জন্য কপ্টারে নয় শতাব্দী এক্সপ্রেসে মালদা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে বীরভূমের বোলপুরে মাত্র ২ মিনিটের জন্য দাঁড়ায় এই এক্সপ্রেস ট্রেন। আর সেখানেই নেত্রীর হাতে বীরভূমের জনপ্রিয় খাবার চপ-মুড়ি তুলে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার বোলপুর স্টেশনে কিছুক্ষণ ট্রেন দাঁড়াতেই নেত্রীর কাছে গিয়ে দেখা করেন অনুব্রত মণ্ডল। কানে কানে কেষ্টকে কিছু বলেনও মমতা। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী।
মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া থেকে দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে যে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে গিয়েছেন তা ৪ টে নাগাদ বোলপুরে পৌঁছয়। কয়েক মিনিটের স্টপেজ ছিল। তার মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের চপ-মুড়ি তাঁকে তুলে দেন অনুব্রত মণ্ডল।