নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ধমানের(Burdhwan) মাটিতে দাঁড়িয়েই কৃষকদের(Farmers) উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৩ দিনের জেলা সফর। গিয়েছেন তিনি দুই বর্ধমান জেলা সফরে। এদিন তাঁর হেলিকপ্টারে হাওড়া থেকে বর্ধমানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তিনি সড়ক পথেই বর্ধমানের পথে রওয়ানা দেন। বর্ধমান শহরের পশ্চিম প্রান্তে থাকা নবাবহাট মোড়ের কাছে গোদা এলাকায় এদিন এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি এদিন কড়া হুঁশিয়ারী দিলেন সেই সব ধানকল ও চালকল মালিকদের যাদের বিরুদ্ধে বার বার কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কেনার অভিযোগ উঠছে। ভুললে চলবে না পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই যেমন রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি চাল উৎপাদন হয় তেমনি রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি চালকল রয়েছে এই জেলাতেই। সেই জেলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের হুঁশিয়ারিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৮৯ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২৩৮৫ কোটি টাকা পাঠান ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের অধীনে। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বাংলার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বাংলার কৃষকদের আয় তিনগুনেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ১১ বছরে ৫৭ লক্ষ টন শস্য উৎপাদন বেড়েছে। খাজনা মিউটেশন ফি আমাদের সরকারই মুকুব করেছি। কিন্তু আমার কাছে কিছু কিছু অভিযোগও আসছে। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকদের ঘোরানো হচ্ছে। আমি কৃষকদের বলে যাচ্ছি যারা এরকম করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর(FIR) করুন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার কাছে খবর আছে ওজনে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। কৃষক মান্ডিতে আসা কৃষকদের হয়রান করছে কেউ কেউ, ঘোরাচ্ছে। আমি বলে যাচ্ছি, সোজা থানায় বা বিডিওর কাছে কমপ্লেন করুন। বিডিওদেরও বলছি, সঙ্গে সঙ্গে যেন অ্যাকশন নেওয়া হয়।’ এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ(Police) সুপারকেও সতর্ক করে দেন।