নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়কে তিনি ভালবাসেন অন্তর দিয়েই। তাই বার বার পাহাড়কে শান্ত রাখার বার্তা দেন তিনি। এবারেও সেই বার্তা দিয়েছেন পাহাড়ে গিয়ে। সেখানে এটাও বলেছেন আগামীদিনে পাহাড় শান্ত থাকলে পাহাড়েও যাতে শিল্পের জন্য বিনিয়োগ আসেন সেটা তিনি দেখবেন। এর মাঝেই পাহাড় সফরের শেষ দিনে তাঁকে দেখা গেল অন্য মেজাজে। সকালে মর্ণিং ওয়াকে বেড়িয়ে ফেরার পথে তিনি ঢুকে পড়লেন রাস্তার ধারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দোকানে। সেখানে বসে পড়ে তিনি বেলনা নিয়ে শুরু করে দিলেন মোমো(Momo) বানাতে। লেচি কেটে কেটে, তা বেলে তুলে দিলেন মহিলাদের হাতে। বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমি তোমাদেরই একজন’। বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড় ছাড়ার আগে এভাবেই দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) বুকে ধরা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন সকালে হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রিচমন্ড হিল থেকে সিংমারিতে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা পর্যন্ত হাঁটেন তিনি। মন ভরে ছবি তোলেন নিজের মোবাইলে। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গেও। তারপর ফেরার পথেই তিনি একটি দোকানে ঢুকে বসে পড়েন মোমো বানানোর কাজে। ঘটনা হচ্ছে এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে যখন জনসংযোগে জোর দিয়েছেন তখন দার্জিলিংয়ের ভানু ভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জিটিএ’র নতুন বোর্ড গঠনের জন্য শপথ গ্রহণ করাচ্ছেন বোর্ড সদস্যদের। এই শপথ গ্রহণের আগে জিটিএ(GTA)’র ৪৫জন সদস্য প্রথমবারের জন্য বৈঠকে বসেন। সেখানেই জিটিএ’র চিফ এক্সিকিউটিভ পদে মনোনিত হন অনীত থাপা(Anit Thapa)। জিটিএ’র চেয়ারপার্সন হিসাবে নির্বাচিত হন অঞ্জুলা চৌহান। ডেপুটি চেয়ারম্যান হন রাজেশ চৌহান। পরে রাজ্যপাল এদেরকেই শপথ বাক্য পাঠ করান। সঙ্গে আরও কিছু সদস্য শপথ নেন। আর এই গোটা ঘটনায় অনুপস্থিত থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও যেন শোনা যাচ্ছে, তাঁর নিজের মন্তব্য। ‘আমি পাহাড়ে কোনও কিছুর দখল নিতে আসব না।’ তাই মোমোতেই রয়ে গেলেন মমতা। গতকাল ফুচকা বানিয়ে খাইয়েছিলেন কচিকাঁচাদের। কোলে তুলে হাতে তুলে দিয়েছেন চকোলেট। আর এবার বানালেন ফুচকা।