এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মালদহে পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে হলেন ডব্লিউ বি সি এস অফিসার

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে প্রখর ইচ্ছে শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমে ডবলু বি সি এস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিডিও হতে চলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে কেশব দাস (২৮)।বাড়ি মালদহ (Malda)জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরদমনগর গ্রামে।এলাকায় জানাজানি হতেই আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা ফুলের তোড়া ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসেন কেশবের বাড়িতে।এলাকায় খুশীর বার্তা ছড়ি পড়েছে।ছেলের সাফল্যে বাবা মা ও আত্মীয় স্বজনদের বুক গর্বে ভরে উঠেছে।

কেশব দাস জানান,২০২০ সালে দ্বিতীয়বার ডবলু বি সি এস পরিক্ষায় বসেন।চলতি মাসের ২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।সে ডবলু বি সি এস এক্সিকিউটিভ ‘A’ বিভাগে পশ্চিমবঙ্গে ২৭ Rank করেছেন।তিনি আরো জানান,২০১১ সালে হরদমনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৭ শতাংশ নাম্বার পেয়ে মাধ্যমিক,২০১৩ সালে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়(Daulatpur High School) থেকে ৭৬ শতাংশ নাম্বার পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।এরপর মালদা কলেজে সংস্কৃত অনার্স নিয়ে ভর্তি হন।২০১৬ সালে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে স্নাতক পাশ করেন।২০১৮ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭৭ শতাংশ নম্বার পেয়ে এম এ পাশ করেন। মালদহ হোস্টেলে(Hostel) থেকে পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতেন।আর্থিক অভাবের কারণে সেই রকম কোচিং নিতে পারেননি।তবে নিজে টিউশন পড়িয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন।তার ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার।কঠোর পরিশ্রমে ডবলু বি সি এস এর সাফল্য তাকে ধরা দিয়েছে।

কেশব দাসের বাবা জ্ঞানবান দাস জানান,তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে।কেশব ছোট ছেলে।সে ছোট থেকেই ছিল কঠোর পরিশ্রমী ও মেধাবি।তাকে পড়াশোনার জন্য কখনো বকাঝকা করতে হয়নি।তার সাফল্যে গর্বিত আজ সম্পূর্ণ হরিশ্চন্দ্রপুর বাসি।তিনি আরো জানান,সে একজন পরিযায়ী শ্রমিক।লকডাউনের(Lockdown) পর থেকে বাড়িতে বসে রয়েছেন।দিনমজুর ও জমিতে কাজ করে কোনোরকমে সাংসারিক খরচের পাশাপাশি ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন।এই সামান্য আয়ে হিমসিম খেতে হয় তাকে।ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিতে হয়েছে তাকে। এমনকি তার স্ত্রীর কানের সোনার দুল পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছে। যা এখনো পর্যন্ত ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি সে। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছেলের আবদার ছিল একটি নতুন সাইকেলের(Cycle) তাও তিনি কিনে দিতে পারেননি।প্রতিদিন প্রায় ছয় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ছেলে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যেত। মালদা হোস্টেলে থাকাকালীন ছেলে একটি ল্যাপটপের আবদার করলেও সেটাও দিতে পারেননি।সবার ঘরেই এরকমের সন্তান জন্মাক বলে তিনি আশীর্বাদ করেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এসএসসি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

হাবিবপুরে দিনভর ভোট বয়কটের ডাক ,সন্ধ্যায় ছড়ালো হিংসা, রক্তাক্ত পুলিশ

জীবনের সব প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রী

শিলিগুড়ির ডনবস্কো মোড়ে গাছ ভেঙে পড়ে আহত একজন মহিলা সহ দুই

জঙ্গলমহলে চোলাই মদের বিরুদ্ধে আবগারি দফতর ও পুলিশের ব্যাপক অভিযান

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর