নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার গভীর রাতের ঘটনা। অভিযোগ, গরু চুরি করতে কয়েকজন বাংলাদেশী দুষ্কৃতী ঢোকে এক ভারতীয়র বাড়িতে। আর তারপরেই বেঢড়ক মারধর করা হয় একজনকে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই বাংলাদেশীর। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কুকুরযান অঞ্চলের বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা নৃপেন রায়ের বাড়িতে গরু চুরি করতে ঢোকে কয়েকজন বাংলাদেশী দুষ্কৃতী। অভিযোগ এমনটাই। বাড়ির লোক টের পেয়ে ধাওয়া করলে তারা সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে গেলেও একজন লুকিয়ে পড়ে স্থানীয় একটি চা বাগানে।
এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘেরাও করে চা বাগান। ভোরের আলো ফুটলে তাকে চা বাগান থেকে খুঁজে বের করে নিয়ে আসতে গেলে বেশ কয়েকজন উত্তেজিত জনতা চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর (Mob Lynching) শুরু করে বাংলাদেশী ওই নাগরিককে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই বাংলাদেশীর।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ সালাম। তার বাড়ি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায়। গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা নৃপেন রায় বলেন, রাতে তাঁর বাড়িতে এসেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতকারী। গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। ধাওয়া করলে চা বাগানে গরু ফেলে পালিয়ে যায় তারা। কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে পালালেও একজন তা না পেরে লুকিয়ে ছিল চা বাগানে। এরপর তাকে ধরে মারধর করে কয়েকজন। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। নৃপেনের দাবি, তাঁদের গ্রামে আগেও বেশ কয়েকবার গরু চুরি হয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, পিটিয়ে খুনের অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিককে। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হবে।