নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) ময়নাগুড়িতে(Moynaguri) মা ও ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর(Unnatural Death of Mother and Son) ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে ময়নাগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কৃষি জমি থেকে পরিমল বর্মন(৪৫) নামের এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। অন্যদিকে ওই ব্যক্তির মা সবিতা বর্মন(৬৫)’র দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়িতেই। প্রতিবেশীদের ধারনা দুইজনকেই খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইজনের দেহ উদ্ধার করা তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন পরিমলবাবু। যদিও সকাল ৮টা নাগাদ ক্ষেতের মধ্যে তাঁর রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে তাঁর দেহ পড়েছিল। হোমগার্ড(Home Guard) হওয়ার সুবাদে পরিমলবাবুর পরিচিতিও ছিল পাড়ায়। তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার বাসিন্দারা তাঁর বাড়িতে যান তাঁর মাকে খবর দিতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা আরও চমকে যান। দেখেন বাড়িতেই বিছানায় হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন সবিতা বর্মন। কিন্তু তাঁর দেহে কোনও প্রাণের স্পন্দন নেই। মাথাটা বাঁ দিকে হেলানো ছিল। দেহ শক্তও হয়ে গিয়েছিল। এরপরেই এলাকার লোকেরাই খবর দেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। তিনিই বিষয়টি পুলিশকে জানান। প্রতিবেশীদের দাবি, দুজনকেই খুন করা হয়েছে।
প্রতিবেশীদের দাবি, ‘আমরা সবাই জানি পরিমল ভোরে মাছ ধরতে বের হয়। তেমনি হয়তো আজও বেরিয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে।’ এদিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুহিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘এই পরিবার আমার অত্যন্ত কাছের। ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি চাই এই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।