নিজস্ব প্রতিনিধি: আশঙ্কা নিম্নচাপ বাড়বে আরও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা ক্রমশ এগিয়ে আসছে উপকূলবর্তী এলাকার দিকে। আশঙ্কা ভারী বৃষ্টিপাতের (RAIN)। সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই নবান্নে (NABANNA) খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যোগাযোগের নম্বর ২২১৪৩৫২৬
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ দিন কন্ট্রোল রুম থেকে জেলাগুলোয় চলবে মনিটরিং। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী এলাকায় হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে চলবে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে জেলাগুলিকে।
নবান্নের নির্দেশে উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকা এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি এই ধরনের এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরদ্বীপ থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব এই মুহূর্তে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার।
ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ-সংলগ্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূমেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বলাই বাহুল্য ভারী বৃষ্টিপাত হবে সাগরদ্বীপ এবং দীঘায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৬ ঘন্টায় এই নিম্নচাপ হবে আরও গভীর। কলকাতায় ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে হালকা ও মাঝারি, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। আগামিকাল ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়। তবে আপাতত রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়নি।