এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বাস্থ্যসাথীতে জালিয়াতি রুখতে বড় পদক্ষেপ নবান্নের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মানুষ যাতে নিখরচায় চিকিৎসার সুবিধা পান তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) স্বাস্থ্যসাথী(Swasthyasathi) কার্ড চালু করেন। সেই কার্ডের আওতায় ক্যান্সার চিকিৎসা(Cancer Treatment) শুরু হওয়া ইস্তক বহু দরিদ্র রোগী ও পরিবার উপকৃত হয়েছে। কেমোথেরাপির(Chemotherapy) মতো মহার্ঘ চিকিৎসার সুবিধেও স্বাস্থ্যসাথীতে নিতে শুরু করেছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু এরই ফাঁক গলে চওড়া হচ্ছিল জালিয়াতির থাবা। বেশ কিছু দিন যাবৎ দেখা যাচ্ছিল, স্বাস্থ্যসাথীতে ওরাল এবং ইঞ্জেক্টেবল কেমোথেরাপিতে যাঁদের চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা আদতে ভুয়ো রোগী। আর এই জালিয়াতি হচ্ছে মূলত স্থানীয় ছোট বা মাঝারি নার্সিংহোমে, যারা কখনও ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসাই করেনি। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। এ বার তাই ওই জালিয়াতি রুখতে বড় হাসপাতাল ছাড়া স্বাস্থ্যসাথীতে কেমোথেরাপি নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার। এই মর্মে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

আরও পড়ুন রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে HMIS, লাভ রোগীদের

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অঙ্কোলজি বিভাগ আছে, এমন সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন গ্রাহ্য হবে স্বাস্থ্যসাথীতে। বেসরকারি ক্ষেত্রে সেই সব হাসপাতালেরই কেমোথেরাপিকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মান্যতা দেওয়া হবে, যে সব হাসপাতালে একসঙ্গে মেডিকেল অঙ্কোলজি, সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি ও রেডিয়েশন অঙ্কোলজির ব্যবস্থা আছে। এর পাশাপাশি সব ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি প্রোটোকলের প্রতিটি সাইকেলের প্রেসক্রিপশন ও অন্যান্য নথি ওই হাসপাতালকে আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টালে। ওরাল কেমোথেরাপির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। শুধু তা-ই নয়, কেমোথেরাপির বিভিন্ন ওষুধের পাশাপাশি চোখের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ইঞ্জেকশনের খরচেও স্বাস্থ্যসাথীতে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন ৬টি জেলা পরিষদ দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শাহ

এদিকে কলকাতা পুরনিগম(KMC) থ্যালাসেমিয়া(Thalassemia) রোগ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করল। শহরের বাসিন্দাদের কারও শরীরে থ্যালাসেমিয়া বাসা বেঁধেছে কিনা, সেই পরীক্ষা এ বার শহরের প্রতিটি পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। এ জন্যে পুর-চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা বলছে, শহরে বর্তমান মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, একটি সংস্থার সহযোগিতায় চিকিৎসকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তার পরেই শুরু হবে পরীক্ষা যাতে তাঁরা এই রোগে আক্রান্তদের উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারেন। পুরনিগমের পক্ষ থেকে ১৫ জন চিকিৎসককে দিল্লিতেও পাঠানো হবে থ‌্যালাসেমিয়া টেস্টের প্রশিক্ষণের জন্যে। যাঁরা প্রশিক্ষণে যাবেন, তাঁদের আগামী ৩ বছর এই প্রজেক্টে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার করতে হবে। ওই চিকিৎসকেরা ফিরে এসে পুরনিগমের দেড়শো চিকিৎসক ও স্বাস্থ‌্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেবেন।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহিলা তৃণমূলকর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ বিজেপি কর্মী

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর