এই মুহূর্তে




আবাসের সমীক্ষার জন্য চলতি সপ্তাহেই আসছে নয়া গাইডলাইন

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূম জেলায় বন্যার জন্য ক্ষয়ক্ষতি কীরকম হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সেখানে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই বৈঠক শেষেই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) আবাস যোজনায়(Banglar Bari) ১১ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি করার জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করে দেবে। তবে তার আগে হবে সমীক্ষা(Survey for Housing)। কারা কারা বাড়ি পাওয়ার উপযুক্ত সেটা খতিয়ে দেখতেই সেই সমীক্ষা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছিলেন, বর্ষা শেষ হলেই সেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে যাবে। ঘটনাচক্রে বাংলায় বর্ষা বিদায়ের দিন হল ১০ অক্টোবর। এবছর আবার দুর্গাপুজোর সপ্তমী পড়েছে ওই দিনেই। আবার বর্ষা যে ওই নির্দিষ্ট দিনেই বিদায় নেবে বঙ্গ থেকে এমন কোনও স্থিরতা নেই। আর তাই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা বিদায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। পুজোর আগেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে আবাসের জন্য সমীক্ষা। চলতি সপ্তাহেই সেই সমীক্ষার জন্য গাইডলাইন(Guideline) সামনে চলে আসছে। 

আরও পড়ুন, ‘ডিভিসি-র সমন্বয় কমিটির তো কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই’, জানিয়ে দিলেন মমতা

তা কী কী থাকতে পারে নয়া গাইডলাইনে? জানা গিয়েছে, আবাস যোজনাকে ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের বিবাদ যে যে বিষয়গুলি নিয়ে সেগুলি এবারের সমীক্ষায় বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন যাদের আগে থেকেই পাকা বাড়ি আছে তাঁরা আর কোনও ভাবেই এই প্রকল্পের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। এমনকি যারা ইতিমধ্যেই পাকা বাড়ি করে নিয়েছেন, কিন্তু প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকায় তাঁদের নাম রেখে দিয়েছেন, তাঁরাও আর এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। আগে শাসক থেকে বিরোধী দলের অনেক জনপ্রতিনিধি নিজেদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেই সব নাম এবার বাদ যাবে। যারা নিজে থেকে মাটির বাড়ি ভেঙে পাকা করেছেন তাঁরা আর টাকা পাবেন না। যাদের মাটির বাড়ি রয়েছে কেবলমাত্র তাঁরাই নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তালিকা তৈরিতে কোনও সুপারিশ মানা হবে না। তবে বন্যায় যাদের পাকা বাড়ি বা মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের নাম এই প্রকল্পের সমীক্ষার মাধ্যমে তোলা হবে। বেশ কিছু জায়গায় আবার দেখা যাচ্ছে, আগে থেকে জেলা ও ব্লক ভিত্তিক যে উপভোক্তার তালিকা রাজ্য প্রশাসন তৈরি করে রেখেছিল তা পোর্টাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। সেই সব জায়গায় একদম নতুন করে সমীক্ষা করা হবে নাম তোলার জন্য।

আরও পড়ুন, মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার জন্য প্রায় ৯ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা পাওনা আছে। বার বার সেই টাকা চেয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রকে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজে একাধিকবার এই নিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু ওই বকেয়া টাকা আজও ছাড়েনি কেন্দ্র সরকার। সেই কারণেই আবাসের জন্য নথিভুক্ত ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরির কাজ আটকে আছে এ রাজ্যে। তবে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে বাংলার মানুষেরা বাড়ি পাবে না, এমনটাও চাইছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী চলতি বছরের শুরুর দিকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনার জন্য টাকা না দিলে রাজ্য সরকারই সেই টাকা দেবে আবাসের উপভোক্তাকে। সেই মতন রাজ্য বাজেটে সেই টাকার যোগানও রাখা হয়েছে। সেই তাকাই আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ছাড়তে শুরু করে দেবে রাজ্য সরকার। টাকা ঢুকবে সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধারের যোগ থাকা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সব কিছুর আগে হবে সমীক্ষা, যা পুজোর আগেই শুরু করে দেওয়া হচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

অনশন আন্দোলনের জেরে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশও, ট্যুইট কুণালেরও

সন্ধিপুজোর আগেই  আকাশছোঁয়া পদ্মের দাম, মাথায় হাত আয়োজকদের

Durga Pujo: সম্প্রীতির নজির গড়ল নানুর, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামে চলছে দুর্গা পুজো

পুজোর আনন্দ উধাও, সব হারিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর