নিজস্ব প্রতিনিধি: মাওবাদী নেতৃত্বের খোঁজে নদিয়ায় হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর আধিকারিকরা। মাওবাদী নেতা আমিরুদ্দিন আহমেদ এবং মাও নেত্রী নির্মলা বিশ্বাসের খোঁজে বুধবার তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ আধিকারিকরা। যদিও তল্লাশি অভিযান চালিয়েও মাওবাদী সংগঠনের ওই নেতা-নেত্রীর কোনও হদিশ পাননি তদন্তকারীরা। আর সেই কারণে মাওবাদী নেতা-নেত্রীর খোঁজ দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এনআইএ। এদিন মাওবাদী সংগঠনের প্রাক্তন মুখপাত্র গৌর চক্রবর্তীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
সূত্রের খবর, অসমের একটি পুরনো মামলায় মাওবাদী নেতা আমিরুদ্দিন আহমেদ এবং মাও নেত্রী নির্মলা বিশ্বাসের খোঁজে বুধবার নদিয়ার কল্যাণীতে হানা দেয় এনআইএ। এদিন চাকদহ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এনআইএ-র আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযানে পোঁছন। কল্যাণীর সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীপুর এলাকায় পৌঁছন তারা। সেখানে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকরা মাও নেতৃত্বের কোনও খোঁজ পাননি। তদন্তকারীরা নির্মলা বিশ্বাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তারা জানতে পারে, ওই বাড়িটিতে নির্মলারা থাকেন না। এর পর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিকরা আমিরুদ্দিন আহমেদ এবং নির্মলা বিশ্বাসের নামে পোস্টার সাঁটায় এলাকায়। যাতে বলা হয়েছে, মাও নেতা-নেত্রীর খোঁজ দিলে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই মাও নেতা-নেত্রীর খোঁজে এর আগেও একাধিকবার ভিন রাজ্যের তদন্তকারীরা এসেছে এলাকায়। বুধবার মাওবাদী নেত্রী নির্মলার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি মাওবাদী সংগঠনের প্রাক্তন মুখপাত্র গৌর চক্রবর্তীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য গৌর চক্রবর্তীকে আগেই ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করেছিল তদন্তকারীরা। কলকাতায় একটি টিভি চ্যানেলের অফিস থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। সালটা ছিল ২০০৯। এর পর সাত বছর জেলবন্দী থাকার পর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে ২০১৬ সালে তিনি মুক্তি পান। পুলিশ সূত্রে খবর, গৌর চক্রবর্তী সম্পর্কে নির্মলা বিশ্বাসের জামাইবাবু হন। গৌড় চক্রবর্তীর হাত ধরে নির্মলা বিশ্বাস মাওবাদী রাজনীতিতে যুক্ত হন বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।