নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলী: হুগলি জেলার ব্যান্ডেল বালিকাটা থেকে দুই শিশু সহ আটজন রবিবার রাতে রওনা দেয় পুরীর উদ্যেশ্যে।উড়িষ্যার বালেশ্বরে (Baleswar)আজ সোমবার ভোরে দুর্ঘটনার কবলে পরে পর্যটকদের স্করপিও গাড়িটি।একটি তেলের ট্যাঙ্কারের (Oil Tranker)সঙ্গে সংঘর্ষে দুমরে মুচড়ে যায় গাড়িটি।ঘটনাস্থলে তিন জনের মৃত্যু হয়।আহত হন বাকিরা।তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় ওড়িশা(Ordissa) পুলিশ।মৃতরা হলেন শঙ্কর রাও(৫০),পার্বতী দাস(৪৮) ও গাড়ি চালক ইব্রাহিম গাজি(২৭)।চালকের বাড়ি চুঁচুড়ার (Chuchura)সোনাটুলি এলাকায়।
ঘটনার খবর পাওয়ার পর ব্যন্ডেল থেকে উড়িষ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দেন পর্যটকদের পরিবার।দুর্ঘটনায় মৃত শঙ্কর রাও এর মেয়ে প্রভা রাও বলেন,পুরীর মন্দিরে পুজো দেওয়ার মানসিক ছিল বাবার।পরিবার এবং পরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে রবিবার রাতে গাড়ি করে বেরিয়েছিল।আজ সকাল ছটার সময় উড়িষ্যা থেকে খবর পাই দুর্ঘটনা হয়েছে।খবর পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেখানে গেছেন।
দুর্ঘটনায়(Accident) মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে ব্যান্ডেল(Bandel) ও সোনাটুলি এলাকায়। কি করে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা জানতে ওড়িশা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে মনে করা হচ্ছে গাড়ি চালানোর সময় চালকের অসতর্কতার দরুণ এই দুর্ঘটনা ঘটে।জানা গিয়েছে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্ত হয়ে যাওয়ার পর সেগুলিকে ফিরিয়ে আনা হবে তাদের বাড়িতে।ইতিমধ্যে হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উড়িষ্যার বালেশ্বর পুলিশের(Police) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।জাতীয় সড়কে ভোরবেলা এবং গভীর রাতে পথ দুর্ঘটনা রোধ করতে ওড়িশা প্রশাসন নানা ধরনের ভূমিকা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে। রাতে দুর্ঘটনা রোধে গাড়িচালকদের চা খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছে উড়িষ্যা প্রশাসন।