নিজস্ব প্রতিনিধি: শান্তিনিকেতনে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন পুলিশ কর্তারা। গোটা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্য পুলিশের এডিজি সঞ্জয় সিং, আইজি ভরতলাল মিনা, বীরভূম পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা৷ ঘটনায় জড়িতদের স্কেচ আঁকা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
বৃহস্পতিবার রাতে শান্তিনিকেতনে মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী ওই নাবালিকা বৃহস্পতিবার রাতে আসে চরক পুজো দেখতে। চড়কের মেলা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নদীর ধারে পাঁচজন গণধর্ষণ করে। বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন থানার বড়োডাঙা গ্রামে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ওই রাতে মায়ের সঙ্গে চড়কের মেলায় গিয়েছিল নাবালিকা। মেলায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে দু’জন গল্প করছিল মেলার মাঠে। সে সময় আচমকা পাঁচ জনের একটি দল সেখানে আসে। এর পর ছেলেটিকে মারধর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাকে নিয়ে নদীর ফাঁকা চরে চলে যায় তারা। এর পর সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ। এর পর খবর পেয়েই তদন্তে গ্রামে যান অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ৷
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার বন্ধুর বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করাচ্ছে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতা আদিবাসী নাবালিকার বন্ধুর সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। শুক্রবার গণধর্ষণের ঘটনাস্থল ঘুরে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলাম। স্কেচ করে আইডেন্টিফাই করা হচ্ছে৷ ভিক্টিম ভালো আছে৷’