নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও গণধর্ষণ(Physical Harassment), আবারও সেই বীরভূম(Birbhum)। জঙ্গলের মধ্যে প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থার ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ যুবক গণধর্ষণ করে এক আদিবাসী কিশোরীকে(Tribal Girl) যে আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সেই গণধর্ষণের ভিডিও তুলে তা আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন দিনে ওই পাঁচ যুবকই ফের গণধর্ষণ করে ওই নির্যাতিতাকে। তবে তাতেও রেহাই মেলেনি। গণধর্ষণের ভিডিও চলেই আসে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ভিডিও নির্যাতিতার পরিবারের চোখে পড়ার পরে তাঁরা শেষে দ্বারস্থ হন পুলিশের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে গ্রেফতার(Arrest) হয় ৪ অভিযুক্ত। রবিবার দুপুরেই তাদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার বোলপুর(Bolpur) থানার কালিকাপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে কালিকাপুর এলাকার জঙ্গলে ওই নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেই সময় তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায় অভিযুক্ত পাঁচ যুবক। তাদের সেই অন্তরঙ্গ অবস্থার ভিডিও তুলে তারা তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। সেই ভয় দেখিয়েও ওই নাবালিকাকে সেখানেই গণধর্ষণ করে ওই পাঁচ যুবক। সেই গণধর্ষণের ভিডিও আবার তুলে রেখেছিল তারা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত বছরের নভেম্বরের মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই পাঁচ যুবক মেয়েটিকে একাধিকবার গণধর্ষণ করে। মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে মুখ চুপ করেছিল যাতে তাঁর গণধর্ষণের ভিডিও সমাজের সামনে চলে না আসে এই জন্য। কিন্তু সম্প্রতি সেই সব গণধর্ষণের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা। সেই ভিডিও চোখে পড়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের এবং পাড়া প্রতিবেশীদেরও। তাঁরা তখন নাবালিকাকে চেপে ধরলে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরেই শনিবার নাবালিকার পরিবার বোলপুর থানার দ্বারস্থ হয়। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শনিবার রাতেই বোলপুরের লায়েকবাজার থেকে অভিযুক্ত চারজনকে পুলিস গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। বাকি একজনেরও সন্ধান শুরু করেছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায় এদিন জানিয়েছেন, ‘একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ ঘটনাটি প্রায় ৬ মাস আগের। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজনের খোঁজ চলছে। শীঘ্রই সে ধরা পড়বে।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। গণধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখার জন্য নাবালিকাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রবিবার সকালে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।