নিজস্ব প্রতিনিধি: এ কী ব্যবহার! অস্থায়ী বন সহায়ক কর্মীকে(Temporary Forest Support Worker) বাঁশ দিয়ে বেধড়ক করার অভিযোগ উঠল কিনা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের(Forest Range Officer) বিরুদ্ধে। চূড়ান্ত অমানবিক ও বেআইনি এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) মালদা জেলায়(Malda District)। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায়(English Bazaar PS) ওই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আক্রান্ত বন সহায়ক কর্মী এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এই ঘটনার জেরে বনদফতর কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা বা কোনও তদন্ত করবে কিনা সেটাও সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, মালদার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই অস্থায়ী বন সহায়ক কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত বন সহায়ক কর্মী সুকুমার মণ্ডল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কারণেই তিনি কাজে আসতে পারেননি। এক মাস আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় এখনও তিনি শারীরিক ভাবে বেশ দুর্বল। জ্বর জ্বর ভাব থাকায় একদিন অনুপস্থিত ছিলেন অফিসে। আর সেই অনুপস্থিত থাকার ‘শাস্তি’ হিসাবেই মাল্দা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে মালদারই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামীর বিরুদ্ধে।
সুকুমারের বাড়ি জেলার মানিকচক থানার রামনগর জোতপাট্টা এলাকায়। ডেঙ্গু পরবর্তী শারীরিক অসুস্থতায় তিনি একদিন অফিসে যেতে পারেননি। কেন অফিসে আসেননি, ফোন করে তা জানতে চান রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামী। পরদিন ওই অস্থায়ী বন সহায়ক কর্মীকে রেঞ্জ অফিসে ডেকে পাঠিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করায় ওই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামী-সহ কয়েকজন মিলে বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
মারধরের জেরে হাত এবং পায়ে চোট পান সুকুমার। তার জেরে তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এই বিষয় ওই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার গোস্বামী সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে চাননি। এদিকে, এই ঘটনার পর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার জিজু জেসপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনিও এই বিষয়টিতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কার্যত প্রদীপের বিরুদ্ধে বনদফতর(Forest Department) আদৌ কোনও পদক্ষেপ করবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।