নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপিতে খেয়োখেয়ি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার আরও এক জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এলো। খোদ বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন দলেরই বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে বাঁকুড়ার সাংসদের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়কের অডিও কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। যদিও ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই মুহুর্তে’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপে সুভাষ সম্পর্কে এক জনকে (যে অডিয়োর কণ্ঠস্বর নীলাদ্রির সঙ্গে মিলে যায়) বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের সাংসদ তথা মন্ত্রী চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে পর্যন্ত তোলা আদায় করেন। ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে তিনি সর্বত্রই এমনটা করে চলেছেন।’ এখানেই থামেননি তিনি। আগামী লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায় কিংবা সুভাষ সরকারকে ফের প্রার্থী করা হলে কাজ করার জন্য কর্মী পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এক বার শুধু নীলাদ্রির নামটা ঘোষণা হয়ে যাক। তার পর পাগলা ভোট হবে। কিন্তু সে জায়গায় লকেট বা সুভাষদাকে দিলে (প্রার্থী করলে) কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
শুধু সুভাষকেই নিশানা নয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাংগঠনিক যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নীলাদ্রি। খানিকটা ব্যঙ্গের সুরে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘শুধু মোদির হাওয়ায় ভোট জেতা যাবে না। ভোটে জিততে হলে কর্মীদের চাই। সুকান্ত মজুমদার বাঁকুড়ার মাটিকে কতটা চেনেন? ক’বার তিনি বাঁকুড়ায় এসেছেন? এ রাজ্যে দল এখন বিদ্যার্থী পরিষদ লাইনে চলছে। তাই বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেদের সংগঠনের পদে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক দক্ষতা যাদের আছে, তাদের কিছু জানতে দেওয়া হচ্ছে না।’
অডিয়ো কথোপকথন ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যাঁর বিরুদ্ধে বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার অভিযোগ সেই সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওই অডিয়ো শুনেছি। কিন্তু তার সত্যতা যাচাই করিনি। যদি ওই অডিয়োর সত্যতা থেকে থাকে, তা হলে বলতে হবে ওই বিধায়ক বিজেপির এক জন উচ্ছৃঙ্খল বিধায়ক।’