নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দেশখালি: সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে সন্দেশখালির শিতুলিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের টার্গেট ছিল পুলিশ কর্মীরা। সন্দেশখালির থানার খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিতুলিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পের উপরে হামলা পরিকল্পিতভাবে চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।সন্দেশখালিতে পুলিশ ক্যাম্পে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশ কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।সোমবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় শীতুলিয়ার ওই পুলিশ ক্যাম্পে। ঘটনায় আহত হন সন্দীপ সাহা নামে এক পুলিশ কর্মী। তিনি ওই ক্যাম্পের কনস্টেবল ছিলেন।আহত পুলিশকর্মীকে প্রথমে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। আহত পুলিশ কনস্টেবলের মাথার পেছনে লোহার রডের আঘাত লেগে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। তাকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা কেন লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করল তা জানার চেষ্টা করছে তদন্ত কারী অফিসাররারা। পুরনো কোন ঘটনার জেরে বদলা নিতে এই হামলা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার পর, তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হামলার ঘটনার পর শীতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশ ফোর্স এর সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে।
তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, সন্দেশখালির(Sandeshkhali) ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার বিভিন্ন পুলিশ ক্যাম্প গুলিতে রাতভর পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার রাত ১১ টার পরে যখন সেখানকার পুলিশ কর্মীরা পাহারা দিচ্ছিলেন সেই সময় পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী অতর্কিত হামলা চালায়। সেই আক্রমণে পুলিশ কনস্টেবল সন্দীপ সাহা লাঠি ও রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন। সন্দীপ সহাকে প্রথমে সন্দেশখালীর খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখন তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তড়িঘড়ি স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আহত কনস্টেবল সন্দীপ সাহার(Sandip Saha) মাথায় অস্ত্র প্রচার করার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আহত কনস্টেবলের মাথায় অস্ত্র প্রচার করেন চিকিৎসকরা। ওই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।এই হামলার ঘটনার পর সন্দেশখালি এলাকার সব পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশি প্রহরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সব পুলিশ ফাঁড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা(CCTV) দ্রুততার সঙ্গে লাগানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে,ডাকাতি করতে এসে হাতেনাতে অস্ত্রসহ পাকড়াও এক দুষ্কৃতী।
উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেতার চকের ঘটনা । সোমবার গভীর রাতে একদল ডাকাত ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল মৃগাঙ্ক মন্ডলের বাড়ির সামনে। বাড়ির মালিক রাত্রে খাওয়া দাওয়ার পরে শুয়ে পড়েন। তার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আওয়াজ আসে বাড়ির মালিকের কানে। তড়িঘড়ি মালিক উঠে দেখেন গেটের তালা ভেঙে এক ব্যক্তি ভিতরে প্রবেশ করে ।বাইরে আরো কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল। ব্যবসায়ী মৃধাঙ্ক বাবু চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকে বার হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে ওই একজন ডাকাতকে ধরে ফেলে। ছুটে পালাতে গিয়ে ওই ডাকাত বিভিন্ন জায়গায় বাধা সৃষ্টি হয়ে বেশ কয়েক জায়গায় নিজের দেহে আঘাত পায়। তারপর এলাকাবাসীরা তাড়া করে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে।
বাকি যে আরো কজন ছিল তারা পালিয়ে যায়। এই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ডাকাতি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম ।গ্রামবাসীরা তাকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। অবশেষে হিঙ্গলগঞ্জ থানায় খবর দিলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার (Hingalganj P.S.)পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এলাকাবাসীদের দাবি বেশ কিছুদিন ধরে এখানে চুরির ঘটনা ঘটছে ।আমরা কাউকে ধরতে পারছিলাম না । সোমবার একজনকে ধরতে পেরেছি ।এর উপযুক্ত শাস্তি এবং পাশাপাশি বাকি আরো যে কয়েকজন পালিয়ে গেছে তাদের কে খুঁজে বার করে কঠিনতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
