নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট: সন্দেশখালিতে পুলিশ আক্রান্তর ঘটনাতে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। এই ঘটনায় আটক তিনজনকে ৮ ঘণ্টা জেরা করার পর নির্দোষ বলে ছেড়ে দেয় পুলিশ । একে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ৫,ই জানুয়ারি ইডি আক্রান্তের পর রাজ্য পুলিশ আক্রান্ত নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির কনস্টেবল সন্দীপ সাহার মাথায় অপারেশন হয়েছে। সুস্থ রয়েছেন তিনি। পুলিশ আক্রান্তর ঘটনাতে রীতিমতো তোলপাড় পুলিশমহল। রাজ্য তৃণমূলের ওপরে এই দায় চাপালেও সরাসরি বলা হয়েছিল যে এই ঘটনায় যারা দোষী তারা যে দলরেই হোক, রঙ না দেখে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তিন জনকে পুলিশ শিতুলিয়া গ্রাম থেকে আটক করে। তারা হলেন সিদ্ধার্থ মন্ডল, দিব্যেন্দু দাস, শিবু মন্ডল।
এদেরকে পুলিশ আটক করে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেও বিভিন্ন সময় তদন্তে উঠে আসে তারা নির্দোষ। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ নির্দোষ বলে। ইতিমধ্যে পুলিশ সূত্রের খবর, কনস্টেবল সন্দীপ সাহার বয়ানে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে। সোমবার রাত্রে সাড়ে বারোটা নাগাদ শিতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে দোতালায় ঘুমাচ্ছিল সন্দীপ সাহা(Sandip Saha)। সেই সময় নাকি একদল দুষ্কৃতী গিয়ে তার মাথায় লোয়ার রড দিয়ে বাড়ি মারে। সেই অবস্থায় তিনি ফোন করেন তার সহকর্মী সৌমিত্র মন্ডলকে। ঐদিন দুই পুলিশ কর্মী কর্মরত ছিল। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে ।
তাকে উদ্ধার করে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে(Sandeshkhali Hospital) ভর্তি করলে অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়া কলকাতা একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। তার অপারেশন হওয়ার পর তিনি সুস্থ রয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে গেট ভেঙে দোতলায় কি করে দুষ্কৃতীরা উঠলো? আর কেউ দেখতে পেল না পাশের ঘরে তার সহকর্মী শুয়ে ছিল সেও জানতে পারল না কেনো?সময় যতো এগোচ্ছে পুলিশ আক্রান্তর ঘটনাতে তত রহস্য ঘনিভূত হচ্ছে। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। যার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসার রা।