নিজস্ব প্রতিনিধি: দুইজনই ছিলেন নেশাগ্রস্থ। তার মধ্যেই লেগেছিল ঝগড়া। তার জেরেই ঝগড়ার মাঝে একজনের হাতে অন্যজন খুনই হয়ে গেলেন। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র। ছেলের হাতেই খুন হয়ে গিয়েছেন বাবা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর থানার গজা সাঁতরা পাড়ায়। বাবাকে খুন করে ছেলে নিজে থেকেই থানায় গিয়ে করেছেন আত্মসমর্পণ। আর সেই ঘটনা দেখা চমকে গিয়েছেন খোদ পুলিশের আধিকারিকেরাও। তারপরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করে ছেলেকেও। মৃত ব্যক্তি বছর আটচল্লিশের মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা চাষবাসের কাজ করতেন। তাঁর ছেলে উদয় সাঁতরাও চাষের কাজই করত। প্রতিবেশীদের দাবি, উদয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। আর তা জানতে পেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে উদয়।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুঞ্জয় নেশা করে প্রায়শয়ই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করত। সেই কারণে উদয়ের মা পাশের বাড়িতে থাকতেন শুরু করেছিলেন। উদয় আর উদয়ের স্ত্রী অবশ্য মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গেই থাকতো। কিন্তু স্ত্রীকে কাছে না পেয়ে মৃত্যুঞ্জয় হাত বাড়িয়েছিল ছেলের বউয়ের দিকে। সেই কথা উদয়ের কানে যেতেই শুরু হয়েছিল বাপ-বেটার ঝামেলা। উদয়ও বউকে নিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে উদয় আর মৃত্যুঞ্জয় দুইজনই মাঠে চাষের কাজ শেষ করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তারপরেই তাঁদের মধ্যে বাঁধে ঝগড়া। প্রতিবেশীদের দাবি, সেই সময়েই ঘরে থাকা কুড়ুল দিয়ে বাবাকে এলোপাথাড়ি কোপায় উদয়। তাতেই মারা যান মৃত্যুঞ্জয়। এরপর ঘরের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়কে ফেলে রেখেই কুড়ল হাতে সোজা থানায় হাজিরা দেয় উদয়। থানায় গিয়ে বাবাকে খুনের কথা কবুল করে ছেলে উদয় সাঁতরা।