নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনিই যোগ্য চাকরির দাবিদার বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার (BABITA SARKAR)। চাকরি গিয়েছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। পরে মামলা করে চাকরি পান অনামিকা রায়। তাঁর দাবি ছিল, ববিতার যা অ্যাকাডেমি স্কোর ছিল তা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। মামলায় জয় হয়েছিল অনামিকার। রবিবার খবর এল, ববিতার সুপারিশ বাতিল করেছে এসএসসি।
সুপারিশ পত্র বাতিল মানে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই নিয়োগ বাতিল করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। তাঁর রায়েই চাকরি হারিয়েছেন ববিতা। সেই চাকরি পেয়েছেন অনামিকা বিশ্বাস রায়। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ ইতিমধ্যেই হয়েছেন ববিতা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।
ববিতা ২ নম্বর কম পেয়েছিলেন অনামিকার থেকে। তালিকায় ২১ নম্বরে নাম ছিল তাঁর (অনামিকা)। নাম থাকার কথা ছিল ২০ নম্বরে। উল্লেখ্য, চাকরির আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতকের নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। ফলে বেড়েছিল তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’। উল্লেখ্য, গ্র্যাজুয়েশনে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ পেয়েছিলেন ববিতা। মানে, শতাংশের হিসেবে তা ৫৫ শতাংশ কিন্তু দেখানো হয়েছিল ৬০ শতাংশ। তাই অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ না হয়ে ৩১।