নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রাম বাংলার(Rural Bengal) বুকে নয়া কর্মসূচী নিয়ে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। রাজ্যের জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে, পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে, পাড়ায় পাড়ায়, বুথে-বুথে শুরু হয়েছে জোড়াফুলের নয়া কর্মসূচী ‘চাষির দুয়ারে চাষি কথা’(Chashir Duyare Chashi Kotha)। জোড়াফুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচীতে মূলত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু, বাংলা শস্য বিমা যোজনা, মৎস্যবন্ধু, বাংলার বাড়ি প্রভৃতি আর্থসামাজিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শোনা হচ্ছে কৃষকদের অসুবিধার কথাও। কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে সেই পথও বাতলে দেওয়া হচ্ছে। রাসায়নিক সারের কালোবাজারি, আলু বীজের কালোবাজারির মতো ইস্যুগুলিতে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার কীভাবে বাংলার কৃষকদের পেটে লাথি মারার নীতি নিয়েছে তাও তুলে ধরা হচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অকাল বৃষ্টিতে কৃষকের পাকা ধানে মই পড়েছে। নিম্নচাপের অকালবৃষ্টিতে মাঠের পাকা ধানে মই দিয়েছে প্রকৃতি। নষ্ট হয়ে গেছে জমিতে বসানো আলুর বীজ। সেই সব সমস্যার সমাধান না করেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি এই সব সমস্যাকে ইস্যু বানিয়ে লোকসভা ভোটের(General Election 2024) প্রচারে নেমে পড়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূলও আর হাতগুটিয়ে বসে থাকতে রাজী নয়। তাঁরাও এবার গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই নয়া কর্মসূচীতে নেমে পড়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা না হওয়া অবধি এই প্রচার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মাঝে দুয়ারে সরকার যখন চলবে তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমজনতার কার কী লাগবে সেটা দেখার দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। জোর দেওয়া হচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলার ওপরে যেখানে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফসলহানির ঘটনা বেশি ঘটেছে।