এই মুহূর্তে




অশান্ত বাংলাদেশ, রাজ্যের নিরাপত্তার খাতিরে বড় পদক্ষেপ নবান্নের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: পড়শির ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুনের আঁচ এসে পড়ে আমাদের ঘরেও। এই সারসত্যকে কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। যারা করেন তাঁরা জেগে স্বপ্ন দেখেন। আর তাই অশান্ত বাংলাদেশ(Bangladesh) যে এপার বাংলার(West Bengal) জন্য বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে সেটা আঁচ করেই এবার রাজ্যের মধ্যে থাকা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের(Indo Bangla Border) অরক্ষিত অংশে কাঁটাতার(Fencing) বসানোর কাজ দ্রুত শেষ করতে জমি জোগাড়ে উদ্যোগী হলে নবান্ন। আরও বলা ভাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নবান্ন(Nabanna) সূত্রের খবর, প্রায় ২২৪ কিমি কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ করার জন্য জমির বন্দোবস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব দিক জুড়ে অবস্থান বাংলাদেশের। দুই বাংলার মধ্যেকার স্থলসীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২,২১৭কিমি, যা বিশ্বের পঞ্চম দৈর্ঘ্যতম স্থলসীমান্ত।

আরও পড়ুন ৮০০ মেট্রিক টন মাছ আসে, ১০০ মেট্রিক টন যায়, সবটাই এখন অনিশ্চিত, ইলিশের দর ১,৬০০ টাকা

বাংলাদেশ থেকে নাগাড়ে অনুপ্রবেশ হয় ভারতে। আর তার বেশিরভাগটাই হয় এপার বাংলার দিয়ে। কেননা দুই দেশের ভাষা একই। এমনকি দুই বাংলার সংখ্যালঘু মানুষদের মধ্যে জীবনযাপনের পদ্ধতিও এক। তাই অনুপ্রবেশ হলে চট করে বোঝা দায় কে বাংলাদেশী আর কে এপার বাংলার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেদার মুসলিম ঢুকে পড়েন এপার বাংলায়। আর তার জেরে এপার বাংলার সীমান্তবর্তী কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জনবিন্যাসের চরিত্রও বদলে গিয়েছে। আর সেই কারণেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত সরকার সোমান্তের অরক্ষিত অংশে কাঁটাতার লাগানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কাঁটাতার বসাবার কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ১৬০০ কিমি এলাকায়।

আরও পড়ুন দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল, তবুও বুদ্ধের কর্নিয়া দুটির মান অত্যন্ত ভাল

কাঁটাতারবিহীন সীমান্ত এলাকার অনেকাংশই নদীবেষ্টিত। তবে যেখানে নদী নেই, সেখানে কাঁটাতার বসাবার কাজটি সম্পূর্ণ করে ফেলতেই সচেষ্ট কেন্দ্র। রাজ্য সরকার এই কাজে সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি বলেই দাবি কেন্দ্রের। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে এবার রাজ্য সরকারও উদ্যোগী হয়েছে কাঁটাতার বসানোর জন্য জমি জোগাড় করে দিতে। যেখানে কাঁটাতার নেই সেখানে কাঁটাতার বসানোর কাজ দ্রুত শেষ করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কাঁটাতার বসাবার জন্য প্রয়োজনীয় জমি কেনার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। তার জন্য অবশ্য জরুরি রাজ্য মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র।

আরও পড়ুন পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে শেষ বারের মতো বেড়িয়ে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দফায় দফায় ২৬৬.৭১ কিমি জমি কেনার ছাড়পত্র রাজ্য মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। তার মধ্যে ৮০ কিমির জন্য অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ ডিসেম্বর। অনুমোদিত অংশের মধ্যে ৪৩ কিমির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এই জমি কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত ১১২.৩ কিমি কাঁটাতার বেড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি কিনতে ২২১.৭ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। বাকি ১৫৪ কিমির জন্য প্রয়োজনীয় জমি কিনতে কত টাকা প্রয়োজন, তা কেন্দ্রকে শীঘ্রই জানাবে রাজ্য। এক্ষেত্রে সমীক্ষার কাজ শেষ করে সরাসরি কেন্দ্রকে এই তথ্য তুলে দেয় জেলা প্রশাসনগুলি। কেন্দ্রও সরাসরি জমি কেনার টাকা পাঠায় জেলাকে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে ছেলে, বিচার পেয়ে পথে নামলেন কোন্ননগরে  বিক্রমের মা

৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে খুন, পলাতক অভিযুক্ত  ছেলে

৫০০ বছর আগে জয়নগরের বুকে মোতিলাল পরিবারে পুজোর সূচনা

তিন শতাব্দী পার করা রামপুরহাটের মণ্ডল বাড়ির পুজো

শুধু নয় সিংহ, দেবীর সঙ্গে থাকে বাঘও, দিনহাটার মুস্তাফি পরিবারের পুজোয়

আসানসোলের মিঠানিতে চক্রবর্তী বাড়ির ৪০০ বছরেরও বেশি পুরাতন পুজো

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর