নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সংক্রান্ত(School Teachers Recruitment Scam) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের(Suprme Court) নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টেই(Calcutta High Court) গঠিত হয়েছিল বিশেষ বেঞ্চ। মূলত মামলার শুনানি এবং রায় দানের জন্য সেই বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালর এটাও জানিয়েছিল ৬ মাসের মধ্যে সেই মামলার রায় প্রদান করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়, যারা এদিন সেই মামলার রায় প্রদান করেছে। সেখানেই বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৬ সালের School Service Commission’র প্যানেল পুরো বাতিল করা হচ্ছে এবং মোট ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যারা প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। আলাদা ভাবে চাকরি হারাদেরও একটা বড় অংশ সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মোট ৪টি প্যানেল এদিন বাতিল করা হচ্ছে। সেই ৪টি প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজারের আশেপাশে। সব মেশি হলে তা ১০ হাজারের আশেপাশেই থাকবে। সেক্ষেত্রে আদালত কেন পুরো প্যানেল বাতিল করে দিল? কেন শুধু ওই ১০ হাজারের চাকরি বাতিল না করে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল। কার্যত এই প্রশ্ন তুলেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এই মামলায় জড়িত আইনজীবীদের একাংশের দাবি, School Service Commission’র বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৬০০। কিন্তু নিয়োগ হয়েছে তারও ১ হাজার বেশি। অর্থাৎ সবটাই দুর্নীতি। তাই আদালত পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, চাকরিহারারা আরও বেশ কিছু মামলার রায়কে হাতিয়ার করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে।