নিজস্ব প্রতিনিধি, তাজপুর: বহু প্রতীক্ষিত তাজপুর বন্দর গড়ার কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এক হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠছে এই গভীর সমুদ্রবন্দর। বন্দর তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ে ৬টি ও পরের পর্যায়ে ৯টি বার্থ তৈরি করা হবে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে প্রায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে।
তাজপুর বন্দরের জন্য রাজ্য সরকার কৃষকদের থেকে ৯৯ বছরের লিজে জমি নিয়েছে। ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত সোমবারই তাজপুর বন্দর নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। তারপরই দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ও পরের পর্যায়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। উপকূল থেকে কয়েক কিলোমিটার গভীরে গড়ে উঠছে তাজপুর বন্দর। মাঝে থাকবে সেতু। সেখান থেকে মালপত্র সড়ক ও রেলপথে রওনা দেবে বিভিন্ন প্রান্তে। ৩৫০ মিটার প্রস্থ ও প্রায় ১৬ মিটার নাব্যতা থাকায় এটি গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বন্দরটি তৈরি হয়ে গেলে শুধুমাত্র প্রত্যক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। পরোক্ষভাবে আরও ১৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তাজপুর বন্দর তৈরি। এই বন্দরটি তৈরি হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এই বন্দরের সঙ্গে নিকটতম জাতীয় সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।’ ডিসেম্বর থেকেই পুরোপুরি বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেই তিনি আশাবাদী।