-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:54 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ‘এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই।’ গত ৫০ বছর ধরে কার্যত বাংলাদেশকে লুঠতরাজ চালিয়েছেন শাসকদলের নেতা-নেত্রী থেকে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরে বিদেশে পাচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার চমকে ওঠার মতো এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা যায়নি। বরং দেশে গরিবের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে গরিবের সংখ্যা ১৮ শতাংশ। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পরেই ৯ শতাংশ গরিবি বেড়েছে। একদিকে যেমন অধিকাংশ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন, অন্যদিকে তখন সম্পদের পাহাড়ে চড়ছেন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে সরকারি আমলারা।
এদিন ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৩-২৪: বৈষম্য নিরসনে জনগণতান্ত্রিক বাজেট’ বিষয়ক এক সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত জানান, ১৯৭২-৭৩ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ৫০ বছরে কালো টাকার পরিমাণ মোট ১৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যার মাত্র ২ শতাংশ সরকারকে উদ্ধারের প্রস্তাব করেছি। ওই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হলে সরকারি কোষাগারে জমা পড়বে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭০ কোটি টাকা।