নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পথেই কী এগোচ্ছে বাংলাদেশ? ডলার সঙ্কটে কয়লা কিনতে না পারায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন থমকে গিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে তীব্র লোডশেডিংয়ের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে খাদ্যপণ্যের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার। চাল-ডাল কিনতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আম আদমির। তার মধ্যেই দুঃসংবাদ শুনিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.২ শতাংশ।
গত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে বাংলাদেশ। ভিক্ষার পাত্র হাতে আইএমএফ সহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দরজায়-দরজায় হত্যে দিচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ডলারের অভাবে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা ও জ্বালানি তেল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। আর্থিক সঙ্কট যত তীব্র হচ্ছে ততই বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯.৩৩ শতাংশ। এপ্রিলে সামান্য কমে দাঁড়ায় ৯.২৪ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মশলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। পূর্বতন মাসের তুলনায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে ৯.২৪ শতাংশ। চিকিৎসা পরিষেবা, পরিবহণ ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ।