নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশে জুলাই(21 July) ঘিরে প্রতি বছরই উন্মাদনা তুঙ্গে ওঠে তৃণমূলের(TMC) অন্দরে। কোভিডের কারণে বিগত দুটি বছর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ভার্চুয়ালি। এবার কিন্তু প্রকাশ্য জনসমাবেশ ফিরেছে কলকাতায় ধর্মতলার বুকে। আর সেই সভা থেকেই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সবার সামনে তুলে ধরলেন তৃণমূলকে নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনার কথা, স্বপ্নের কথা, লড়াইয়ের কথা। দলের কর্মীদের তিনি কীভাবে দেখতে চান, দলের বিধায়কদের কীভাবে দেখতে চান, দলকে আগামী দিনে কোন কোন লড়াইয়ে নামাতে চান তার সব কিছুই বৃহস্পতিবার একুশের সভা থেকে তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘আমি তৃণমূলকে একটা পরিচ্ছন্ন দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি চাই, ভারতে একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক, তাঁর নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আমি চাই ভারতে একটাই দল থাকুক, তাঁর নাম সাংস্কৃতিক তৃণমূল কংগ্রেস। আমি চাই ভারতে একটাই দল থাকুক, যে দল আদর্শবাদী, সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারবে। আমি চাই আমার দলের কর্মীরা প্রতিদিন সকালে রাস্তায় হাঁটবে। মা-আম্মিকে দেখলে প্রণাম করবে। আমি দেখতে চাই যে আমাদের কর্মীরা সাইকেলে(Cycle) চেপে ঘুরছেন। বিধায়করা পায়ে হেঁটে ঘুরছেন। সাংসদরা রিকশায় চেপে ঘুরছেন। চায়ের দোকানে বসে আমাদের কর্মীদের আড্ডা মারতে দেখতে চাই। চা খেয়ে টাকাটা দিয়ে দেবেন। ওঁরাও গরিব। চায়ের দোকানের টাকায় চা খাবেন না।’
এর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে মমতা বলেন,‘মিডিয়ার(Media) সামনে যা ইচ্ছে বলবেন না। মনে রাখবেন তৃণমূল সুশৃঙ্খল দল। তৃণমূলের নামে কেউ টাকা তুললে সোজা থানায় গিয়ে জানান। একুশে জুলাইয়ের চাঁদা তোলা নিয়ে দুটি অভিযোগ এসেছে। কারও থেকে দলের নামে চাঁদা তুলবেন না। মনে রাখবেন নেত্রীর থেকেও দল বড়। ২০২৪ সালে প্রতিটি আসনে জিততে হবে। ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়ে জিততে হবে। উত্তরপ্রদেশে জিততে হবে। আর কোনও কর্মী যদি খেতে না পান, তাহলে আমাকে খবর দিন, আমার দু-তিন মাস সময় লাগবে। কিন্তু একটা সিস্টেম করে দেব। আপনারা যত সচেতন হবেন, বিজেপি তত পিছু হঠবে।’