নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি (BJP) গত ২০২০ থেকে দুর্গাপুজো (DURGA PUJA) শুরু করেছে বঙ্গে। ‘বাঙালি প্রিয়’ বোঝাতে বঙ্গ বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছিল আগে থেকেই। চলতি বছরে ‘কালী বিতর্ক’র পরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কালী পুজোরও। তবে সেই পুজোও আর হয়ে ওঠেনি। আগের বারে বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এবারে পদ্ম শিবিরের পুজোয় উপস্থিত হতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এর মাঝেই এসেছে পুজোকে কেন্দ্র করে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর। ফের প্রকাশ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। আর এই খবরে ফের মুখ পুড়েছে বঙ্গ বিজেপির।
সল্টলেকের ইজেডসিসি’তে এবারে হল ভাড়া করে পুজোর আয়োজন করেছে বঙ্গ বিজেপি। তা নিয়ে অবশ্য তৃণমূল শিবিরের কটাক্ষ, গেরুয়া শিবিরের অবস্থা এমন যে, হল ভাড়া করে পুজো করতে হচ্ছে। জনসংযোগ নেই। আরও বলা হয়, ‘হল ভাড়া করে পুজোয় যার নামে সঙ্কল্প ছিল, তিনি এখন তৃণমূলে’। পঞ্চমীতে একটি পুজো উদ্বোধনে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আবার সপ্তমীতে সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজোয় আসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে তার আগে মহালয়ার দিনে কলকাতায় আসবেন বিজেপি পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল এবং মঙ্গল পাণ্ডে। সূত্রের খবর, তাঁদের রিপোর্ট আগে যাবে শাহ-নাড্ডার কাছে। তারপরে তাঁদের সফর চূড়ান্ত হবে।
এদিকে, সল্টলেকের ইজেডসিসি’র পুজোয় পৌরহিত্য করবেন সুলতা মণ্ডল। তিনি বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছাত্রী। তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসলে এভাবে বিজেপি বোঝাতে চাইছে, তারা ‘নারী সম্মান ও সমানাধিকার’-এ বিশ্বাসী। অথচ আরএসএসের গোলওয়ালকার বা মোহন ভগবত থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক বিজেপি নেতাদের মন্তব্যেই বোঝা যায়, নারী সম্মান ও সমানাধিকারের কথা বিজেপি’র আদর্শ নয়।
অন্যদিকে, গত বছর পুজোর দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখার সদস্যরা এবং রাজ্য নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে তাঁরা নেই দায়িত্বে। তা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সাংস্কৃতিক শাখার সদস্যরা ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে, সূত্রের খবর এমনটাই। এবারে পুজোর দায়িত্বে উত্তর কলকাতা যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার ওপর। দলের অন্দরে অভিযোগ আরও, পুজোর দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বহু ‘আদি’ নেতাকে।